নুরুল আলম:: ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২৬তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের আওতাধীন গুইমারা রিজিয়ন কর্তৃক নানাবিধ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। গুইমারা রিজিয়নের সকল জনসাধারণ ধর্ম, জাতি ও সংস্কৃতি নির্বিশেষে আয়োজিত সকল কর্মসূচীতে স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। এই ঐতিহাসিক দিবসে গুইমারা রিজিয়ন সম্প্রীতি র্যালি, আলোচনা সভা, মানবিক সহায়তা, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা এবং প্রীতি ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছে।
সকাল ১০টায় শহীদ লেঃ মুশফিক হাইস্কুল মাঠ থেকে সকল জনসাধারণ কাধে কাধ মিলিয়ে বর্ণাঢ্য র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন এবং উক্ত র্যালি গুইমারা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। র্যালির সমাপনান্তে বক্তৃতা প্রদান করেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো কামাল মামুন, বিএএমএস এনডিসি পিএসসিজি, কমান্ডার ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড এবং গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার। এছাড়াও উক্ত আলোচনা সভায় গুইমারা বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল এস এম আবুল এহসান পিবিজিএম, পিএসসি, যামিনীপাড়া জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল আলমগীর কবির পিএসসি এবং সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার সৈয়দ পারভেজ মোস্তফা পিএসসিজি, রামগড় পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম কামাল, গুইমারা উপজেলা চেয়ারম্যান মেমং মারমা ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী বক্তৃতা প্রদান করেন।
আলোচনা শেষে রিজিয়ন কমান্ডার সম্প্রীতি ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মানবিক সহায়তা, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম এর উদ্বোধন করেন। পরে গরীব ও দুস্থ্য জনসাধারণের মাঝে শীতবস্ত্রসহ বিভিন্ন মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এছাড়াও দিনব্যাপী দুস্থ্য জনসাধারণের মধ্যে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করা হয়।
বিকাল ৩টায় প্রীতি ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। যেখানে পাহাড়ি বাঙ্গালী জনসাধারণের অংশগ্রহণে একটি উপভোগ্য প্রীতি ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি কর্তৃক খেলায় অংশগ্রহণকৃত সকলের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
পরিশেষে রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, গুইমারা রিজিয়নে নিয়োজিত সেনা, বিজিবি, আনসার পুলিশসহ সকল নিরাপত্তা বাহিনী শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এধারা অব্যাহত থাকবে।
উক্ত আলোচনা সভায় রিজিয়ন কমান্ডার পার্বত্য শান্তি চুক্তির সাফল্য হিসেবে পার্বত্যাঞ্চলের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে নিরাপত্তা বাহিনীর অবদান বর্ণনা করেন।