নুরুল আলম:: খাগড়াছড়িতে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাব পড়েছে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে পাহাড়ি এ জেলায়। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। গুমোট আবহাওয়া হয়ে আছে। এর আগে রাতেও একই অবস্থা ছিলো। বৈরি পরিস্থিতি ও ঠাণ্ডা মৃদু বাতাসের কারণে ঘরমুখী মানুষ। হাট বাজার ও দোকানপাটে ক্রেতা সমাগম কম। রাস্তা-ঘাটও ফাঁকা।
গুইমারায় ২৪ঘন্টার বেশি সময় ধরে নেই বিদ্যুৎ। এতে করে সকলপ্রকার ইন্টারনেট সেবা ও টেলিযোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন এ এলাকার মানুষ। বিদ্যুৎ মেরামতের কর্মকর্তাও নিচ্ছে না তেমন কোনো ব্যবস্থা এই নিয়ে ভুক্তভোগি এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
এদিকে ১৭ নভেম্বর ২০২৩ রাত ৩টা থেকে ১৮ নভেম্বর বিকাল ৩টায় পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিহীন থাকায় সকলপ্রকার ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন গুইমারা সহ খাগড়াছড়ির বেশ কয়েকটি উপজেলায়। আজ বেলা ৩টার পর বেশকিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ ঠিক হলেও এই রির্পোট লেখাপর্যন্ত বেশকিছু উপজেলা এখনো বিদ্যুৎ বিহীন রয়েছে। মুঠো ফোন, র্চাজার লাইট থেকে শুরু করে সব ধরনের বিদ্যুৎতিক যন্ত্রপাতি বন্ধ হয়ে গেছ ইতিমধ্যে। ২৪ঘন্টার অধিক সময় পার হওয়ার পরও বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান করতে পারিনি স্থানীয় বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা। আর এতে করে বিভিন্ন সমস্যায় ভুকছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, ২৪ ঘন্টার অধিক সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল ফোন, ঘরের চার্জ লাইট সবকিছুই বন্ধ হয়ে গেছে। কোনো ধরনের বিপদ আপদ হলে যে ডাক্তার কিংবাদ আত্মিস্বজনদের জানাবো তারও কোনো মাধ্যম নেই। এত লম্বা সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকার কারণ জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন ভুক্তভোগি ব্যক্তি।
জানা যায়, ঝরের কারনে খাগড়াছড়ি বিভিন্ন উপজেলায় ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছ গাছালি ভেঙ্গে ঘর-ঘিরাবেড়া ও বিদ্যুতের তারের উপর পড়েছে। যার ফলে বিদ্যুৎ সংযোগে ব্যাঘাত ঘটেছে। এছাড়াও ফলফলাদী ও ধানক্ষেতেরও ব্যপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
এদিকে বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, ঝড়ের জন্য বিদ্যুতের তারের উপর গাছ ভেঙ্গে পরেছে। তাই আপাতত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সমস্যা সমাধানের কাজ চলছে দ্রুত বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেওয়ার আশ্বাস দেন তারা।