ইউএনও’র রাজিব চৌধুরীর সার্বিক উন্নয়ন প্রচষ্টোয় সন্তুষ্ট এলাকাবাসী
“উন্নয়ন স্বপ্নের বাস্তবায়নে পাল্টে যাচ্ছে গুইমারা।” প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়েও তিনি নিজের আন্তরিক প্রচেষ্টা,নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতায় কাজ করে যাচ্ছেন এ উপজেলায়। মাটি আর মানুষের সম্পর্ক যেমন আত্মার প্রশান্তি আনে তেমনি এ কর্মকর্তা নিজেকে দায়িত্বশীল ও নিভীরভাবে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পাহাড়ি এই উপজেলা গুইমারায়।
খাগড়াছড়ির গুইমারায় ১৪ আগষ্ট ২০২৩ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে যোগদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিব চৌধুরী। তারপর থেকে অল্প সময়ে এলাকার সাধারণ থেকে শুরু করে সর্বস্থরের মানুষের মনে জায়গা করে নেন অল্প সময়ে।তিনি যোগদানের পর থেকে অনিয়ম-অপকর্ম,স্বজনপ্রীতিকে নির্বাসনে পাঠিয়ে গুইমারাকে পরিবর্তন করতে কাজ শুরু করেন এই উপজেলায়। ফলে সার্বিক বিভিন্ন পরিবেশের পাশাপাশি প্রত্যান্ত এলাকাবাসীও সে সুফল পেতে শুরু করে।
জনপ্রতিনিধি,সুশীল সমাজ,সাংবাদিক ও সাধারন মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিসহ আন্তরিকতায় গুইমারা উপজেলার সকল উন্নয়ন মূলক প্রশাসনিক কার্যক্রমে এগিয়ে নিতে কাজ করতে দেখা যায় এ কর্মকর্তাকে। শুধু তাই নয় উপজেলা পর্যায়ের সকল সেবায় তিনি শতভাগ নিষ্ঠার সাথে সেবা দেওয়ার ফলে সন্তুষ্ট স্থানীয় জন সাধারণ।
জানা যায়, রাজিব চৌধুরী যোগদানের পর থেকে গুইমারা উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে শুরু করে এলাকার বিভিন্ন সার্বিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে। এলাকার সাধারণ জনগণ সঠিক সময়ে তাদের প্রয়োজন কাজ করে নিতে পারছেন। এর মধ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের বিষয় আবার কেউ আসে ওয়ারিশ সার্টিফিকেট কেউবা আবার আসেন জায়গা জমির শুনানী করাতে। পূর্বের তুলনায় বর্তমান ইউএনও আসার পর থেকে সকল সুযোগ সুবিধা সময়মত পাওয়ায় সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
এছাড়াও পিলাক খাল পুনরুদ্ধার, গুইমারা হাইস্কুলের খেলার মাঠ সংস্কার, গুইমারা বাজারের দখলকৃত ফুটপাত উদ্ধার, গুইমারা বাজারে ক্যাশলেস ট্র্যানজেকশানের পাইলট প্রজেক্ট বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ, গুইমারা বাজারে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণ, মহালছড়ি-সিন্ধুকছড়ি রোডের পঙ্খীমুড়া নামক স্থানে নতুন পর্যটন স্পট উন্নয়নে উদ্যোগ গ্রহণ,শিক্ষার প্রসার,মাদক নির্মূল, প্রান্তিক জনগোষ্ঠির দ্বোরগোরায় সেবা পৌঁছে দেওয়াসহ গুইমারা উপজেলার বিভিন্ন প্রশাসনিক অবকাঠামো নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান ইউএনও’র সঠিক তত্বাবধায়নে। প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষনের কারনেই এমনটা সম্ভব হচ্ছে বলে দাবি করেন সচেতন মহল।
স্থানীয় সচেতন মহল অভিমত, বর্তমান উপজেলায় নির্বাহী অফিসার রাজিব চৌধুরী আসার পর থেকে এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে আছে। তিনি উপজেলার বিভিন্ন দুর্গম এলাকা পরিদর্শন করে অসহায়দের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জানে কাজ করছেন। দেখা যায় দুর্গম এলাকাগুলোর মধ্যে অনেক অসহায়দের ঘর ও জায়গা নেই, তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর ও আর্থিক-মানবিক সহায়তা দিয়ে সহযোগিতা করছেন তিনি। সম্প্রতি তিনি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলাধুলার সামগ্রী প্রদান করে যাচ্ছেন। এতে শিক্ষার্থীরা বেশ খুশি।
এছাড়াও হাটবাজার সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন বলে,গণমাধ্যমকর্মীদের এক আইন-শৃঙ্খলা মিটিং এ জানান। তিনি আরো বলেন, অবৈধ ভাবে পাহাড় কাটা,বালু উত্তোলন ও ফসলী জমি থেতে মাটি কাটার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় গুইমারার বিভিন্ন পাহাড় কাটার স্পর্ট পরিদর্শন করে পাহাড় কাটার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তিনি।
লেখক: নুরুল আলম,সিনিয়র সাংবাদিক,খাগড়াছড়ি।