“স্বার্থান্বষী মহলের ফাঁদে নিয়োগ পরীক্ষার চাকরী প্রার্থীরা”
নিজস্ব প্রতিবেদক:: মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রমে প্রসারে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ যখনেই এগিয়ে নিতে “শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম হাতে নেয় তখনেই তৎপর হয়ে উঠে স্বার্থান্বষী একটি মহল। নিয়োগে বাঁধার দেয়াল তৈরী করে পাহাড়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা ষড়ষন্ত্রকারীদের ফাঁদ বানিয়ে তাদের দিয়ে অপপ্রচার চালায়ে পরিস্থিতি বেসামাল করে তোলায় ব্যস্ত মহলটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নানা বাঁধা পেরিয়ে খাগড়াছড়ি জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম এগিয়ে নিতে উদ্যোগ নেয় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ। দীর্ঘ সময় অতিক্রমের পর লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক শেষে চুড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের পর সময় বুঝে অপতৎপরতা শুরু করে। এরই মধ্যে বিভিন্ন মিডিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ এনে মাঠ গরম করে মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় ষড়যন্ত্রকারীরা। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে খাগড়াছড়ি সচেতন নাগরিকরা।
পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের আহবায়ক নিলোৎপল খীসা বলেন,মন্ত্রনালয় থেকে শুরু করে নিয়োগ কার্যক্রমকে স্বচ্ছ করতে প্রতিটি প্রশাসনের নজরদারী রয়েছে। এরপরও এ ধরনের অনিয়মের অভিযোগ ভীত্তিহীন ও হাস্যকর।। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী মহল সব সময় অনিয়মের গন্ধ খুঁজে। এ ষড়যন্ত্র তাদের মনোবাসনা এবং লক্ষ্য বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ কার্যক্রমে অকৃতকার্য কিছু পরীক্ষার্থীকে নানা প্রলোভন দিয়ে মাঠে নামিয়ে দিয়ে ষড়যন্ত্রকারী মাস্টার মাইন্ডরা অদৃশ্য থেকে কলকাটি নাড়ে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে-সদ্য প্রকাশিত খাগড়াছড়ি জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগে ‘প্রিন্টিং মিসটেক’ এর কর্তৃপক্ষের বক্তব্যকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ঐক্যবদ্ধ একটি চক্র মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়াকে অনিয়মের অভিযোগের চাঁদরে ডেকে দিতে অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদ এর প্রকাশিত লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ক্রমানুসারে গত ৬ অক্টোবর প্রকাশিত চূড়ান্ত (লিখিত ও মৌখিক) তালিকায় প্রকাশ করে। চুড়ান্ত ফলাফলে ৩৩৬ জনের চাকরির জন্য মনোনীত করা হয়।
চাকুরী প্রার্থীরা স্নাতক দ্বিতীয় বিভাগ ডিগ্রীধারী হলেও অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মন্তব্যে অযোগ্য লিখা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সচেতন মহল। এটি অনেকটা শিক্ষাজীবনের অর্জনকে অসম্মান বলে মনে করেন অনেকে। ষড়যন্ত্রকারী চক্র অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের দিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ অপপ্রচার ও পরীক্ষার্থীদের ফাঁদে ফেলে উস্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পায়তারা করছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার চুড়ান্ত ফলাফলে মেধার ভিত্তিতে এ নিয়োগ পরিক্ষায় যারা উর্ত্তীন্ন হয়েছে তারাই স্থান পেয়েছে জানিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.সাহাব উদ্দিন জানান, যাদের ফলাফল খারাপ হয়েছে তারা ঝড়ে পড়েছে। এখানে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উর্ত্তীন্ন তারাই খাগড়াছড়িতে মান সম্মত শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার পথে পথযাত্রী হয়েছে বলে তিনি জানান।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রদানকারী সংস্থা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী চাকরির পরীক্ষার বিষয়ে বলেন, খাগড়াছড়ি জনবহুল এলাকা। এ জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগকে আরো শক্তিশালী এবং মান সম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা জোরদারে পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে। তাই সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সাথে এ নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনায় করতে পরিষদ বদ্ধপরিকর। কিছু লোক অহেতুক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন আরো বলেন তথ্যভিত্তিক কোনো মন্তব্য থাকলে পরিষদকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে পারেন।
বিরোধিতার স্বার্থে কারা বিরোধিতা করেছেন , কারা কি কারনে অহেতুক মন্তব্য করছেন,আমাদের তা জানা নেই। প্রতিযোগিতামুলক পরীক্ষায় পাস- ফেল হতেই পারে; তাই বলে বিরূপ মন্তব্য না করে আগামীর জন্য চেষ্টা করাই সমীচীন হবে। এ সময় তিনি শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র না করে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরী প্রার্থীরা স্বার্থান্বষী মহলের ফাঁদে পড়েছে বলে তিনি জানান।