নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ি- পানছড়ি সড়কে প্রতিনিয়তই চলাচল করে হাজার হাজার পথচারী ও শত শত পরিবহন। বর্তমানে এই সড়কের পিচ ও ইটের খোয়া উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থী, পথচারীসহ মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলছে ছোট-বড় যানবাহন। ছাব্বিশ কিলোমিটার রাস্তা পার হতে চল্লিশ মিনিটের স্থলে লাগছে দেড় ঘণ্টা।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিনিয়তই হচ্ছে নানান লেখালেখি। কয়েকদিন পর পর হালকা মাটি মেরে সড়ক বিভাগের পকেট ভর্তি আর খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নাম জোড়া-তালির বিভাগ বলেও অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন।
অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, মুমূর্ষু রোগী পরিবহন করতে গিয়ে কয়েকবার চাকা পামসারসহ বিয়ারিং ভাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে। যানবাহন চালকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন। পানছড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসি। বড় বড় গর্তে গাড়ি যখন হেলে পড়ে তখন ভীষণ ভয় পাই। এই ভয় নিয়েই নিত্য চলাচল করি। বর্তমানে চায়ের আসর থেকে শুরু করে সকল আলোচনায় স্থান পাচ্ছে পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের বেহাল দশার কথা।
জানা যায়, আজ থেকে প্রায় ৬/৭ মাস আগে প্রায় ১৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকায় এই সড়কের টেন্ডার হয়েছে। কিন্তু কোন অদৃশ্য শক্তির বলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করছে না তা জানতে চায় ভুক্তভোগীরা। কিন্তু সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছে ভিন্ন কথা
পানছড়ির সড়ক ও জনপথের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী রনেন চাকমা জানান, কাজের ওয়ার্ক অর্ডার ঠিকাদারকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার এখনো কাজ ধরে নাই। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ শুরুর জন্য চিঠিও দেয়া হয়েছে। মূলত সিমান্ত সড়কের মালামাল এই রাস্তা দিয়ে নেওয়া হচ্ছে তাই সড়কটির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও বর্ষার কারনে সড়কের মাঝে এই খানা-খন্দগুলো হচ্ছে। তবে প্রতিনিয়তই খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগ খানা-খন্দগুলো ভরাট করার কাজ করে যাচ্ছে।
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, জনদুর্ভোগ হচ্ছে তা দেখতে পারছি। কিন্তু বর্তমানে ভাড়ী বর্ষণের কারনে সড়কের কাজ শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। ঠিকাদারদের সাথে কথা বলা হয়েছে, দ্রুত সড়কের কাজ শুরু করা হবে।