শিরোনাম
মঙ্গল. ডিসে ২৪, ২০২৪

খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারায় সরকারি জায়গা দখল করে উন্নয়ন কাজে বাঁধা

নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলা প্রশাসনের এসিল্যান্ড অফিস ও বাস ভবনসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের জন্য নির্ধারিত সরকারি খাস খতিয়ানের জায়গাতে অবৈধ ভাবে দখলকারীদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলেও অবৈধ দখলকারীরা সরে না গিয়ে সরকারি উন্নয়ন কাজে বাঁধা সৃষ্টির লক্ষে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্রে করে যাচ্ছে। আর এজন্য উপজেলা প্রশাসন অবকাঠামো নির্মান কাজের অগ্রগতি করতে পারছেনা প্রশাসন।

সম্প্রতি উপজেলার বরাদ্দকৃত জায়গায় বসবাসরত রমজান বানু নামে মহিলাকে মানবিক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য বাড়িতে গেলে তাকে বাড়ীতে পাওয়া যায়নি। ঘর ছিল তালাবদ্ধ। তাছাড়া নির্ধারিত জায়গা অবৈধ দখলকারী বাকী ৪ পরিবারের ৩ পরিবারের ঘর ও তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। তাঁরা হলেন, মুকুল বড়ুয়া, সফিকুর রহমান ও মো: আনোয়ার হোসেন। তবে কামরুন নাহার নামে এক মহিলার স্বামী মো: মজিবুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

এসময় গুইমারা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেমং মারমা, গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চোধুরী, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান কংজরী মারমা, গুইমারা ইউপি চেয়ারম্যান নির্মল নারায়ন ত্রিপুরাসহ উপজেলা বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিককর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

খাগড়াছড়ি জেলার সিনিয়র সহকারী কমিশনার রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মনজুরুল আলম বলেন, সরকারি মালিকানাধীন খাস জায়গা সরকারের উন্নয়ন কাজে ব্যবহার হবে, এখানে কারো কোনো আপত্তি না থাকার কথা থাকলেও মানবিক দিক বিবেচনা করে রমজান বানুকে আর্থিক সহযোগিতাসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অন্যান্য সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করা হলেও রমবজান বানুসহ অন্যরা প্রশাসনকে সহযোগিতা না করে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করছে।

সচেতন মহল মনে করেন, গুইমার উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত জায়গাটি ম‚লত সরকারি খাস জায়গা। স্থানীয় কিছু ষড়যন্ত্রকারী উপজেলার অবকাঠামো নির্মাণ না করার জন্য জায়গাটি দখল করে সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার পায়তারা করছে। এছাড়াও বর্তমানে স্থাপনা নির্মাণ কাজে বাঁধা দেওয়াসহ নানান ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে মহলটি। সচেতন মহল আরো বলেন, জায়গাটি যারা অবৈধভাবে দখল করে আছে তারা কেউই অসচ্ছল নয়। এখানে বসবাসরত প্রায় সবাই সাবলম্বিন। তাই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

গুইমারা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেমং মারমা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট গুইমারার তিনটি ইউনিয়ন মিলিয়ে একটি উপজেলা প্রতিষ্ঠার জন্য দাবি জানালে প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টির কারনে আজ গুইমারা একটি উপজেলা রুপান্তির হয়েছে। তবে উপজেলা ঘোষনার পর অদ্যবদি উপজেলা প্রশাসনিক সকল কার্যাক্রম গুইমারা ইউনিয়ন পরিষদে চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। উপজেলা ঘোষনার ৫বছর পর বেশ কয়েকটি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। যার মধ্যে জনস্বাস্থ্য বিভাগ, গ্রামিন সঞ্চয় ব্যাংক, মডেল মসজিদ, উপজেলা প্রানী ও সম্পদ কার্যালয়, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বাসভবন, উপজেলা কার্যালয় ভবন ইত্যাদি।
রবিবার ( ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩) দুপুর সাড়ে ১২টায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে মানবিক দিক বিবেচনা করে খাগড়াছড়ি জেলার সিনিয়র সহকারী কমিশনার রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মনজুরুল আলম মানবিক আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে রমজান বানুর বাসায় গিয়ে তাকে না পেয়ে বলেন, সরকারি মালিকানাধীন খাসখতিয়ানের জায়গা, সরকারের প্রয়োজনে ব্যবহার হবে, এখানে কারো আপত্তি কিছু নেই।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!