নিজস্ব প্রতিবেদক:: দেশের বৃহত্তম পরিকল্পিত রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার শেষে ১৩৫দিন পর শুরু হয়ে মাছ ধরা।
বুধবার (৩১ আগস্ট) মধ্যরাত হতে জেলেরা কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারে ব্যস্থ হয়ে পড়েছে। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা হতে মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন কর্তৃক সরকারি রাজস্ব নিয়ে চট্রগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় কার্পজাতীয় মাছ সরবরাহ করবে মৎস্য ব্যবসায়ীরা।কাপ্তাই মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি দীর্ঘ ৪ মাস ১২দিন পর মাছ শিকার শুরু হওয়ায় সমিতি কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল করা হয়েছে।
মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন অবমুক্ত করা মাছের পোনা স্বাভাবিক বৃদ্বির জন্য প্রতি বছর ১ মে থেকে ৩১জুলাই মাছ শিকার বন্ধ থাকে। কাপ্তাই হ্রদে পানি কম থাকায় সময়সীমা তা ৩১আগস্ট পযন্ত করা হয়। দীর্ঘ ৪মাস ১২দিন বন্ধ থাকার পর কাপ্তাই মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন উপকেন্দ্র গিয়ে দেখাযায় সকল মাছ ব্যবসায়ী ও কর্মজীবীদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসে।
সকলে মাছের ড্রাম, বরফ ও ইঞ্জিন চালিত বোটের সকল সারঞ্জম কাজে ব্যস্থ হয়ে পড়েছে।কাপ্তাই মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বেলাল হোসেন সম্পাদক নবী হোসেন জানান দীর্ঘ ৪মাস ১২দিন পর মাছ ধরা শুরু হওয়ায় আমরা অনেক খুশি। ইতিমধ্যে আমরা দোয়া মাহফিলের কাজ শেষ করেছি।
কাপ্তাই মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন কাপ্তাই উপকেন্দ্র শাখা ব্যবস্থাপক মাসুূূদ আলম জানান, আশা করি আগামি বছরের মত এবারও ভাল মাছ আহরণ ও সরকারি রাজস্ব আয় হবে। তবে মাছ ব্যবসায়ী দিদার,ইসমাল সওদাগর,ফরিদ, শাহাবুদ্দীন,জসিম আলতাফ সওদাগর এরা জানান মাছ ধরা শুরু হয়েছে আমরা খুশি। তবে কচুরিপানা যানজট আমাদের বড় সমস্য করছে। সঠিক সময় মাছ ও বরফ সরবরাহ করা ও পরিবহণ করতে না পাড়লে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। প্রশাসন দ্রুত এ কচুরিপানা অপসারন করার জন্য জোর দাবি জানান।