শিরোনাম
মঙ্গল. ডিসে ২৪, ২০২৪

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা ভাবগাম্ভীযের আষাঢ়ী পূর্ণিমা উদযাপন পালিত

 

চাইথোয়াইমং মারমা, রাজস্থলী : নানান আয়োজনের ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা আষাঢ়ী পূর্ণিমা উদযাপন করেছেন। দিনটি বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। এই তিথিতেই গৌতম বুদ্ধকে মাতৃগর্ভে ধারণ, গৃহত্যাগ এবং বোধি লাভের পর প্রথম পঞ্চবর্গীয় শিষ্যকে ধর্মচক্র দেশনা দেন এবং সংযম পালনে ব্রত হতে এই আষাঢ়ি পূর্ণিমা থেকে আশ্বীনি পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শুরু করেন।

রাজস্হলী উপজেলা বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের মঙ্গলবার (০১) সকাল থেকে বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার, কেন্দ্রীয় সর্বজনীন বৌদ্ধ বিহার, বাঙ্গালহালিয়া হেডম্যান পাড়া বৌদ্ধ বিহার, ডাক বাংলা বৌদ্ধ বিহার,কাকড়াছড়ি বৌদ্ধ বিহার,নাইক্যছড়া বৌদ্ধ বিহারে সকাল থেকে চলছে পঞ্চশীল গ্রহণ, অষ্টশীল গ্রহণ, সমবেত প্রার্থনা, চীবরদান, গুরু ভক্তি, ছোয়াইং দান (ভান্তেদের খাবার দান), মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনসহ নানান অনুষ্ঠান। বিকেলে বুদ্ধমূর্তি স্নান, ধর্মদেশনা, হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় প্রার্থনার মধ্যদিয়ে শেষ হবে আষাঢ়ী পূর্ণিমার আয়োজন।

এ সময় বিহারে ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন বাঙ্গালহালিয়া হেডম্যান পাড়া বৌদ্ধ বিহার বিহারাধ্যক্ষ উ নাইন্দাওয়াংসা ভিক্ষু এবং নাইক্যছড়া মহা বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ খেমাচারা মহাথের। সমবেত প্রার্থনায় হাজির হয়ে পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ করেন বিহারের পরিচালনা কমিটি সভাপতি ৩২০নং কাকড়াছড়ি মৌজা হেডম্যান ক্যশৈথুই চৌধুরী এবং বাঙ্গালহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আদোমং মারমা সহ দায়ক-দায়িকা ও উপাসক-উপাসিকারা।

এ দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।
উল্লেখযোগ্য তিনটি ঘটনা হলো- গৌতম বুদ্ধ মাতৃগর্ভে প্রতিসন্ধি লাভ, রাজপ্রাসাদ, রাজত্ব ও স্ত্রী-পুত্রের মায়া ত্যাগ করে দুঃখ থেকে মুক্তির পথ অন্বেষণে গৃহত্যাগ ও বুদ্ধত্ব লাভের পর পঞ্চবর্গীয় শিষ্যদের উদ্দেশে প্রথম ধর্মের বাণী প্রচার করা।

প্রসঙ্গত, আষাঢ়ি পূর্ণিমা উপলক্ষে তিন মাস বর্ষাবাস পালন করবেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। এ সময় সংযম পালনের মধ্য দিয়ে ন্যায়, সৎপথে চলা, বুদ্ধের নীতি জীবনানুসারণ এবং পরোপকালে মনোনিবেশ দীক্ষিত করে থাকে। সকাল বেলা নর নারী ছোট হতে বড় রা হাতে টিফিন কেরি বহন করে বিহারে ১ম বুদ্ধ কাছে ছোওয়াইং দান ফুল পূজা করে থাকে,এবং বিহার বড় ভান্তে কে দুপুর আহারে দান সহ সাধারণ মানুষ দায়ক দায়ীকারা ও দুপুরের খাবার আহার করতে দেখা যায়। বিকাল বেলা ও সন্ধা মোমবাতি জ্বালিয়ে গৌতম বুদ্ধের কাছে প্রাথণা করে আষাঢ়ী পূর্ণিমা শেষ করা হয়েছে।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!