নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় সরকারি অবকাঠামো নির্মানে জমি সংকটে বেদখল হওয়া সরকারি খাস ২ একর ৫০ শতক জমির দখল চিহ্নিত করণ ও জমি উদ্ধারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বুধবার ২৭শে জুলাই উপজেলা প্রশাসনের সাথে দখলদারদের আলোচনা সভা হয়েছে। এর আগে ২৫ শে জুলাই বেদখল হওয়া জমি সরেজমিনে দখল চিহ্নিত করণ ও পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রক্তিম চেীধুরী।সভায় গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রক্তিম চেীধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, গুইমারা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেমং মারমা। এছাড়াও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ঝর্না ত্রিপুরা, গুইমারা থানার অফিসার ইনর্চাজ রাজিব চন্দ্র কর, গুইমারা সদর ইউপি চেয়ারম্যান নির্মল নারায়ন ত্রিপুরা, হাফছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মংশে চৌধুরী প্রমূখ।
জানা যায়, গুইমারা উপজেলা ১৯৭ নং গুইমারা মৌজার ২১২৩ দাগের বেদখল হওয়া সরকারি খাস ২একর ৫০শতক জমি ৫ আগস্টের মধ্যে খালি করে দেয়ার জন্য দখলদারদের প্রতি অনুরোধ করা হয়। ৫ তারিখের পর যদি জমি খালি করা না হয় তাহলে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। দখলদারদের দাবি জয়নাল নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে আঞ্চলিক দলিলমুলে জমি কিনেছেন তারা। যথাযথ প্রক্রিয়া ও ক্ষতিপুরন দিয়ে উচ্ছেদের দাবি করেন দখলদাররা।
গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রক্তিম চেীধুরী জানান, সরকারি খাস জমি কেনা ও বেচা অপরাধ। জমি সংকটের কারনে উপজেলার সরকারি অবকাঠামোর উন্নয়ন কাজ শুরু করা যাচ্ছেনা। উপজেলার বিভিন্ন সরকারি অবকাঠামো নির্মানে এসব খাস জমি ব্যবহার করা হবে।
গুইমারা উপজেলা চেয়ারম্যান মেমং মারমা বলেন, অবৈধ দখলদারদের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই উচ্ছেদ করা হবে। সরকারি জমি কোনভাবেই বেদখল করতে দেয়া হবেনা। দখলদারদের ক্ষতিপুরনের দাবি বিবেচনা করা হবে বলেও জানান তিনি।