নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার গুইমারা উপজেলাধীন হাফছড়ি জোরখাম্বা এলাকার মো. নুরুল ইসলামের মানসিক প্রতিবন্ধী পুত্র মো. হেলাল (২৫) নামের এক যুবক এর ভূল ইনজেকশনে মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই ২০২৩) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সে পাবনা মানসিক হাসপাতালের চিকিৎসায় ঔষধ সেবনের পাশাপাশি ইনজেকশনও ছিল তার ব্যবস্থাপত্রে। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই ২০২৩) বিকেলে মো. হেলাল নিজ ঘরের ফ্রিজে থাকা ইনজেকশন Flopinazin25 না এনে ভুলবশত একই ফ্রিজে থাকা জটিল অপারেশন ব্যবহৃত Vecuron10 ইনজেকশন নিয়ে হাতিমুড়া বাজারের’উদয়ন ফার্মেসীতে’ আসেন।
এ সময় পল্লী চিকিৎসক মো. রুবেল অন্যান্য সময়ের ন্যায় যুবকের আনা ইনজেকশনটি মো. হেলালের শরীরে রক্তনালীতে পুশ করলে ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারায় হেলাল! পরে স্থানীয়রা দ্রুত জ্ঞান হারানো মো. হেলাল(২৫)কে মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ডা. মহি উদ্দীন মানসিক প্রতিবন্ধী মো. হেলাল মৃত্য ঘোষনা করেন।
ডা. মহি উদ্দীন জানান, সন্ধ্যার ৭টার দিকে মানসিক প্রতিবন্ধী মো. হেলাল(২৫) কে জ্ঞানহীন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। পরে তার শরীর পরীক্ষা করে দেখা যায় এখানে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। এ সময় রোগীর সাথে তার মানসিক চিকিৎসাপত্রও আনা হলে তাতে দেখা যায়, মো. হেলাল (২৫) দীর্ঘদিন পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে এবং ওখানকার চিকিৎসকের পরামর্শে (ব্যবস্থাপত্রে) ওষুধের পাশাপাশি Flopinazin25 ইনজেকশন প্রয়োগের নির্দেশনা রয়েছে।
কিন্তু হেলালের অভিভাবক ও সঙ্গে আসা নিকটাত্মীয়েরা বলেন, Vecuron10mg পুশ করার পরই হেলাল জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তিনি আরও জানান, Vecuron10 mg ইনজেকশন মূলত অপারেশন পূর্ব মূহুর্তে রোগীকে অজ্ঞান করতে পুশ করা হয়। পরে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়।
মানিকছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনচারুল করিম জানান, নিহত হেলালের বাড়ি গুইমারা থানার অধিন হাফছড়ি জোরখাম্বা এলাকায় হওয়ায় লাশ গুইমারা থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে নিহতের অভিভাবকের মোবাইল তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।