নিজস্ব প্রতিবেদক:: পার্বত্যাঞ্চলে নিজ উদ্যোগে বিল্ডিং নির্মাণের সময় কিছু ব্যক্তি বিশেষ অনুমতি নিলেও অধিকাংশই নিচ্ছেনা সরকারি অনুমতি। এছাড়া ট্যাক্স দেওয়াতেও ফাঁকি দিচ্ছে। অন্যের জায়গায় ঘর নির্মাণ, বিদ্যুৎ সংযোগে পিলার ব্যবহার না করে বাশ ও গাছে খুটি ব্যবহার ও সরকারি ট্যাক্স ফাঁকি সহ নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রে জানা যায়, নিজের জায়গায়ও বিল্ডিং নির্মান করতে হলেও পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় সরকারি প্রকৌশল বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার ধারা নকশা নিতে হবে। কিন্তু বর্তমানে দেখা যায়, অনুমতি বিহীন সরকারি ও অন্যের মালিকানাধীন জায়গা দখল করেই নির্মাণ করছে ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এমনকি সরকারি চলাচল জায়গা ও হাট বাজারের পানির ড্রেনের জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করছে।
অপরদিকে বিদ্যুৎ সংযোগেও হচ্ছে ব্যাপক অনিয়ম। বিদ্যুৎ বিভাগের যোগসাজসে অন্যের জায়গায় অনুমতি বিহীন খুটি গেরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যুতের পিলার ব্যবহার না করে বাঁশ ও গাছের খুটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া রাস্তার আশ-পাশের জায়গা দখল করে বিদ্যুতের লাইন নিচ্ছে। যার ফলে বিদ্যুৎ আকৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঝুকি বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
ইউনিয়ন পরিষদের হাউজ ট্যাক্স ফাকিঁ দিয়ে দিনের পর দিন বসবাস করে আসছে অনেকেই। এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, যারা বর্তমানে যত্রতত্র ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে তাদের অধিকাংশ বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে সরকারি হাউজ টাক্স দিচ্ছে না। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সরকারি ট্যাক্স পরিশোধ করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের অনুমতি নিয়ে বিল্ডিং ঘর নিমার্ণ করার নিয়ম রয়েছে।
সচেতন মহল বলেন, নিয়মনীতি মেনে ঘরবাড়ি নির্মাণ করলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। এলাকায় অনিয়ম দূর্নীতি কমবে। তাই সকলকে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বিল্ডিং ঘর নির্মাণ ও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন।