শিরোনাম
সোম. ডিসে ২৩, ২০২৪

ডেস্ক নিউজ:: সংবাদিকতায় পরিবর্তন আসছে। সাংবাদিকতা বর্তমান সময়ে একটি মহৎ পেশা সাংবাদিকরা দেশের জাগ্রত বিবেগ একজন সাংবাদিককে সকল পেশার মানুষ অত্যান্ত শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। তাই জ্ঞানী গুনি কবি সাহিত্যকরা বলে থাকেন সাংবাদিকদের কলমের ক্ষমতা তরবারি চেয়ে ধারালো ও শক্তি শালি। কলম এমন একটি অস্ত্র যা সর্বাধুনিক মরনাস্ত্রে চেও মারাত্মক। এই কলমের সামান্য দুই ফোটা কালি পৃথিবীর সমস্থ্য ধন সম্পত্তির চেয়ে মূল্যবান। সেই কলম যখন কোনো সংবাদিকের হাতের অস্ত্র হয় তখন তার ক্ষমতা বেড়ে যায়। অন্তহীন ভাবে কিন্তু বর্তমান সময়ে সাংবাদিকতা পেশা বিভিন্ন পারস্পারিক কারনে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনা সৃষ্টি করেছে।

১ হাজার টাকা দিয়ে অনলাইন খুললে সাংবাদিক ও সম্পাদক হয়ে যাচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা এখানে চতুর্থ বিষয় প্রযোজ্য নহে। ফেইসবুকে পোস্ট করে এরা বলে টিভি নিউজ। সারাজীবন দেখে আসলাম আগামীকালের পত্রিকা ছাপা হয় রাত ১২টার পর অথচ এখন দেখি যখনকার ঘটনা তার কিছুক্ষণ পরই পত্রিকাতে প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে। এই আবার কিধরনের সাংবাদিকতা। পরের দিনের সংবাদ আগের দিনে প্রকাশ পরে খোজ নিয়ে জানা যায়, ওটা পত্রিকা না পত্রিকার মত পোস্টার করে ওরা। তার পর ছেরে দেয় পেইসবুকে । অযোগ্য সম্পাদকের পোর্টালে নিয়োগ পায় অযোগ্য সব প্রতিনিধি। টাকা দিয়ে হয়ে যাচ্ছে স্টাপ রির্পোটার, সিনিয়র রির্পোটার ও জেলা প্রতিনিধি। এর মধ্যে রয়েছে কুলি থেকে শুরু করে দিন মজুর। চা বিক্রেতা পান বিক্রেতা রিকশা চালক, ভ্যান চালক, মাদক ব্যবসায়ী, মাদকাশক্ত, গরুর দালাল, থানার দালাল, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দপ্তরি, জমির দালাল সহ মূর্খ আরো অশিক্ষিত এক শ্রেনীর মানুষ। তারা রাতারাতি সাংবাদিক হয়ে কিশোরগ্যাং এর ন্যায় সাংবাদিকতা পেশায় আজকাল এক শ্রেনীর গ্যাং তৈরি হয়েছে। এরাও কিশোর গ্যাংয়ের মতো দল বেধে প্রতিদিন ধান্দাবাজিতে মেতে উঠেন। কথায় আছে, বাপে মরেছে অন্ধকারে ছেলের নাম বিদ্যুৎ তেমনি মিডিয়া প্রকাশ ও প্রচারের খবর নাই। তিনি বড় মাপের সাংবাদিক।

সাংবাদিক পরিচয় ধারী কিছু অসাংবাদিকের ফেইসবুকের স্ট্যাটার দেখলে লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে যায়। এক লাইন স্ট্যাটাসে ৮০ ভাগই বানান ভুল থাকে লিখতে গেলে আরো ভুল হয়। তাই বলে ১০টি শব্দ লিখলে যদি আটটি শব্দের বানান ভুল সেই কি করে সাংবাদিক। অনেকেই আবার সাংবাদিকদের সংগঠনের নিজের নামটা লিখিয়ে নেয়। তা না হলে নিজেরাই কিছু একটা ভূইফোঁড় সংগঠন খুলে বসেন। ভূয়া সাংবাদিকের নানা অপর্কমের কারনে প্রকৃত পেশাদার সাংবাদিকদের ভাবমুর্তি এখন প্রশ্নবৃদ্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। একশ্রেনীর এসব টাউট বাটপারদের কারনে পেশাদার সাংবাদিকগণ পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত বিরম্বনার মুখে পরেছে। এই সকল সাংবাদিকদের মানবিক জনদূর্ভগ কিংবা উন্নয়ন মূলক কোনো প্রতিবেদন তৈরি করতে দেখা যায় না। লিখবে কিভাবে লিখতে পারলেইতো কোথায়ও সড়ক দূর্ঘটনা কিংবা হত্যাকান্ড ঘটলে ঘটনাস্থলে তাদের চোখে পড়ে না। কারণ এইসকল সংবাদ সংগ্রহে কোনো অর্থ পাওয়া যায়। বরং আরো নিজের পকেট থেকে যায়। এদের বেশি দেখা যায় সংবাদ সম্মেলন স্থানে গ্রামের আনাচে কানাচে গিয়ে সরল সহজ মানুষগুলোকে রীতিনীতি সাংবাদিকতার ভয় দেখিয়ে এরা হাতিয়ে নেয় টাকা। অথচ এরাই গাড়ির সামনে প্রেস লেখা স্টিকার লাগিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় এক জেলা থেকে অন্য জেলায়। সাংবাদিকতার মতো পবিত্রতম পেশা টাকায় এরা কলঙ্কিত করে রীতিমতো উলঙ্গ করে ফেলছে। একজন প্রকৃত সাংবাদিক এটা কখনোই ভালো ভাবে নিতে পারেন না। তাই এসকল সাংবাদিকদের বিপক্ষে কথা বলতে হবে। অপরদিকে দেখা যায়, সাংবাদিকতার ভয়ভীতি দেখিয়ে অন্যের জায়গা দখল করে বেড়াচ্ছে এসকল অপসাংবাদিকরা। প্রকৃত সাংবাদিকদের সাংবাদিকতার নামে যে পবিত্রতা আছে। তার রক্ষার্থে এগুলো দমন করতে হবে। এই দায়িত্ব একজন স্বচ্ছ সাংবাদিকদের উপর স্বাভাবিক নিয়মে বর্তায়। যিনি নিজেকে দায়িত্ববান সাংবাদিক দাবি করবেন তারই দায়িত্ব অপসাংবাদিক রোধ করা একই ভাবে মূল ধারার গণমাধ্যমে উচিত ভূইফোড় রোধে কার্যকরি ভূমিকা পালন করা।

বাংলাদেশ প্রেসকাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ নিজামুল হক নাছিম সম্প্রতি বলেছেন, দেশের প্রকৃত সাংবাদিকদের নিয়ে ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে সাংবাদিক পরিচয় দিতে পারবে না। গ্রেজুয়েট ছাড়া কেউ সাংবাদিকতায় আশার সুযোগ পাবে না। তবে যারা ইতিমধ্যে সাংবাদিকতায় ৫বছরের বেশি সময় কাটিয়েছেন তাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। নাটর সার্কিট হাউসে প্রেসকাউন্সিল আইন ১৯৭৪ ও আচারন বিধি এবং তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অবহিত করণ বিষয়ে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে সমিনার ও মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। পত্রিকায় বিচারপতি মোহাম্মদ নিজামুল হকের এমন বক্তব্য পরে আমি অত্যান্ত খুশি হয়েছি। তার এই সিদ্ধান্তকে মন থেকে সাধুবাদ জানাই ও সমর্থন করি। কিন্তু শতভাগ সমর্থন করতে পারছি না। কেবল সনদ প্রক্রিয়াকে কার্যকর করলেই যে অপসাংবাদিকতা রোধ করা যাবে তা আমি বিশ^াস করি না। বিশ^াস না করার মতো নানা কারণ ও রয়েছে এই যে বলা হলো যারা সাংবাদিকতায় ৫বছরের বেশি নিয়োগ পত্র কিনে নিবেন যেকোনো মূল্যে তারা থেকে যাবেন।

১) ডপটেস্ট প্রক্রিয়া চালু করা:
কোনো ব্যক্তি আদো মাদকাসক্তি কিনা তা যাচাইয়ের জন্য যে মেডিকেল পরিক্ষা করা হয় তাকে ডপটেস্ট প্রক্রিয়া বলে। বর্তমানে মাদকাসক্তদের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে কিশোর কিশোরী থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সব বয়সীরাই মাদকে আসক্ত হয়ে মৃত্যুর দিকে ঢেলে দিচ্ছে নিজেকে এসব কারনে মূলত ড্রপ টেস্ট করা হয়। বিভিন্ন সরকারি আধাসরকারি শায়ত্বসাশিত স্থানীয় সরকারি ও বে-সরকারি সহ সকল চাকরিতে প্রবেশ কালে স্বাস্থ্য পরিক্ষার সঙ্গে মাদক পরিক্ষা ড্রপটেস্টে রির্পোট জমা দিতে হয়। এমন কি ড্রাইভিং লাইন্সে করার জন্য এই পরিক্ষা করানো হয়। নতুন আইন অনুসারে এখন বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাইলেও ড্রপটেস্ট করাতে হবে। অস্ত্রের লাইন্সেস করতেও ড্রপটেস্টের রির্পোট জমা দিতে হয়। কেবল সাংবাদিক হতেই ডপটেস্ট জমা দিতে হয়না। আর আইনের এসব সহজ সমিকরনে সাংবাদিকতা যদি মাদকাসক্ত ব্যক্তির আগম ঘটে তাহলে তা হুমকি স্বরুপ। তার অসুস্থ সাংবাদিকতায় তিনি চাইলে যেকোনো ভালো মানুষকেও অসুস্থ্য বানিয়ে দিতে পারবে। তাই সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে আমার প্রথম দাবি এই পেশায় ডপটেস্ট এর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ^াস এতে প্রায় ৩০ শতাংশ সাংবাদিক পরিচয় ধারি অপব্যক্তিরা হাড়িয়ে যাবে। ফিরে আসবে সাংবাদিকতার সু-দিন। একজন সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে গর্ববোধ করবে প্রকৃত কলম যোদ্ধারা। ডপটেস্ট আইনে পরিনত হউক এটিই আমাদের প্রত্যাশা। এতে কোনো মাদক ব্যবসায়ী মাদক ব্যবসা করতে আর প্রেসকার্ড ব্যবহারে সুযোগ নিতে পারবে না।

২) নিয়োগের আগে পুলিশ ভেরিফিকেশন ও ফৌজদারি মামলায় চাকরি না হওয়া:
আমরা জানি বর্তমানে সরকারি, আদাসরকারিসহ বিভিন্ন ব্যাংকের চাকরিতে চুড়ান্ত নিয়োগের পূর্বে শক্তপোক্ত পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হয়। কোনো কোনো সরকারি চাকরিতে তিনস্তর বিশিষ্ট ভেরিফিকেশন করা হয়। পুলিশ এসবি এবং এনএসআই এর সম্বন্ধয়ে দূর্ভাগ্য বশত কেউ যদি কোনো ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে হাতে পেয়েও হাত ছাড়া হতে পারে। তার চাকরি নামের সোনার হরিণ ফৌজদারি মামলার বলতে চুরি ডাকাতি হত্যা রাহাজানি, অপহরণ, ধর্ষণসহ বিভিন্ন গণশান্তি বিরোধী অপরাধ সমূহকে বুজাচ্ছি। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য যে সাংবাদিকতার মত একটি মহান পেশায় এই আইনটি চালু নেই। ফলে ফৌজদারি মামলার অগনিত আসামি এখন সাংবাদিক ও সম্পাদক। টিভিতে দেখলাম যাবত জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি যখন গ্রেপ্তার হয়। তার কাছেও প্রেসকার্ড সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ১৪ বছর গ্রেফতার এড়িয়েছেন ঐলোক। শুধু হত্যা ও ধর্ষণ মামলার আসামি নয়। মাদক মামলার মাদক ব্যবসায়ীরা সাংবাদিক সেজে করছেন মাদকের রমরমা ব্যবসা। এড়িয়ে চলেছে মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা। এটি দুঃক্ষ জনক ও লজ্জার তাই এই পেশার মর্যাদা ফেরাতে এখনোই আইনটি নিয়ে ভাবা উচিত। কেবল ভাবলেই হবে না কার্যকর করাও উচিত। নয়ত এই পেশার বিলম্বে এমন একটি আইন করা হউক। যেখানে উল্লেখ থাকবে ফৌজদারি মামলা আসামীরা সাংবাদিক হতে পারবে না।

৩) নির্ধারণ করতে হবে শিক্ষাগত যোগ্যতা:
একজন সাংবাদিককের সর্বনিম্ম শিক্ষাগত যোগ্যতা কি হবে? তা অবশ্যই প্রেসকাউন্সিলকে নির্ধারণ করতে হবে। সাম্প্রতিক বাংলাদেশের প্রেসকাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ নিজামুর হক নাছিম বলেছেন, গ্রেজুয়েট ছাড়া কেউ সাংবাদিকতায় আসার সুযোগ পাবে না। তবে এই ক্ষেত্রে আমি মনে করি আরো ছাড় দেওয়া প্রয়োজন। কেননা যারা। এইচ এস সির পর সাংবাদিকতায় ডিপ্লমা করেছে তাদের কি হবে। তাদের পরিশ্রমের এই ডিপ্লমা কি অকার্যকর। তাও প্রেসকাউন্সিলকে পরিস্কার করতে হবে। এসএসসি/এইসএসসি পাশ করা সাংবাদিকদের অনেকেই ভালো করেছে। আবার উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করে ভালো লিখতে পারছে না তাহলে এই ক্ষেত্রে যোগ্যতা বিবেচিত হবে কি? তাই শিক্ষার পাশাপাশি লেখকের লেখা মূল্যায়নও বেশ জরুরী। তারপরও সাংবাদিকের সর্বনিম্ম শিক্ষাগত যোগ্যতা কি হবে তা জানিয়ে দেওয়াই উত্তম বলে মনে করি। এতে সাংবাদিক পরিচায় ধারী চা পান বিক্রেতা রিক্সাচালক পুলিশের র্সৌস। আদালতে ঘুরে বেড়ানো দালালদের পতন হবে সুনিশ্চত।

৪। প্রেসকাউন্সিল সনদ ও পরিক্ষা:
প্রেসকাউন্সিল সনদ এর মূল্যবান হতে পারে আইনজীবিদের বারকাউন্সিলের মত পরিক্ষা পদ্ধতি এই পদ্ধতিতে লিখিত ও মৌখিক পরিক্ষা নেওয়া যেতে পারে এতে যারা পাশ করবে তারাই কেবল সনদ এর যোগ্য বলে বিবেচিত হবে এবং সনদ পাবে। এমন নিয়ম করতে পারলে সাংবাদিকতার মান বহুগুন বারবে বলে মনে করি।

৫) প্রেসকাউন্সিল সনদ ও নিয়োগ প্রক্রিয়া:
সাংবাদিক পরিচয় দিতে প্রেসকাইন্সিলের সনদ পেতে হবে। এছড়া কেউ সাংবাদিক পরিচয় দিতে পারবে না। বাংলাদেশ প্রেসকাউন্সিলের এমন যুগোপযোগি সিদ্ধান্তকে জানাই ধন্যবাদ ও অফুরন্ত ভালোবাসা। তবে এর সাথে আরো কিছু বিষয় যুক্ত করলে ভালো হয় যেমন আগামিতে যারা সাংবাদিকতায় আসবে তাদের শর্তপূরণ স্বাপেক্ষে এ সনদ দেওয়া যেতে পারে সে বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে। অর্থাৎ সাংবাদিক নিয়োগ প্রক্রিয়াটি যেন বাংলাদেশ প্রেসকাউন্সিলকে অবগত করে করতে হয়। তাহলে অযোগ্যদের সাংবাদিক হওয়ার সুযোগ থাকবে না।

৬) প্রেসকাউন্সিলের অয়েব সাইটে সাংবাদিকদের তালিকা প্রকাশ:
সাংবাদিকতার মত এত বড় একটি খাাতে এতদিন সাংবাদিকদের কোনো ডেটাবেজ ছিলনা যে সে সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণা করে মহান এই পেশাটি কলঙ্কিত করেছে এসব বন্ধে প্রেসকাউন্সিলের উদ্দ্যেগ নিঃশন্দেহে প্রশংসনীয়। এছাড়া ডেটাবেজ থাকলে দেশে কি পরিমান সাংবাদিক আছে তারা কে বা কোথায় কাজ করেন ইত্যাদি বিষয়ে সহযেই জানা যাবে। প্রেসকাউন্সিলের অয়েব সাইটে সাংবাদিকদের তালিকা থাকলে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কেউ আর প্রতারণা করতে পারবে না। তাই সাংবাদিকদের নিয়ে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই বাছাই করার পর প্রকৃত সাংবাদিকদের তথ্য বাংলাদেশ প্রেসকাউন্সেলের অয়েব সাইটে আপলোড করা হউক।

৭) প্রেসকাউন্সিল ও লেখা চোর:
লিখতে পারে না নাম। সাধারণদের কাছে তিনি খেতিমান লেখক। এমন খেতিমান লেখক বাংলাদেশে কম নেই। যারা অন্যের লেখা চুরি করে নিজের নামে ছাপিয়েছে কারি কারি লেখা। এমন এগনিত চোর রয়েছে এদেশে তাই এদের চুরি সাংবাদিকতা থামাতে একনোই কঠোর হওয়া প্রয়োজন প্রেসকাউন্সিলের উচিত লেখা চোর প্রমানিত হলে তাদের এই পেশায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করা। তাহলে প্রকৃত সাংবাদিকরাই টিকে থাকবে যুগযুগ।

৮) অযোগ্যদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ:
সাংবাদিকতায় পেশায় আসতে সর্বনিম্ম যোগ্যতা যাদের থাকবেনা তাদের বিরুদ্ধে চিঠি ইসু করে মিডিয়া প্রতিষ্ঠান ও জেলা উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে হবে। বাছাই করা অযোগ্যদের প্রতিটি সাংবাদিক সংগঠন থেকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করতে হবে। অযোগ্য জেনেও যদি তাদের বিরুদ্ধে যদি প্রয়োজনীয় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয়। তাহলে এই অপসাংবাদিকতা কোনো ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।

৯) প্রেস এর অপব্যবহার ও প্রশাসন:
সাংবাদিক নয় কিন্তু গাড়িতে প্রেসের স্টিকার প্রায় এমন দৃশ্য চোখে কেউ কেউ প্রেসের গাড়িতে কেউ আবার মাদক পরিবহনে ব্যবহার করে কেউ আছে যাত্রি ভাড়া টানে। যা ঘৃণিত ও ফৌজদারি অপরাধ। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অসব বিষয় নিয়ে প্রকৃত সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করলেও ব্যবস্থা নেয়না প্রশাসন এতে বুকফুলিয়ে শহরাঞ্চল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই চক্রটি তবে এতে প্রশাসনের দায়বদ্ধতা আছে বলে আমি মনে করি। তাই প্রশাসনের উচিত হবে কেউ এই ধরনের অভিযোগ দিলে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা। উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো আইনে পরিনত করে কার্যকর করা গেলে অপসাংবাদিকতা অনেকটাই রোধ হবে বলে আমি মনে করি। ফিরে আসবে সাংবাদিকতার সোনালি দিন। তাই প্রেসকাউন্সিলের নিকট নিবেন কথায় নয় কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করে আমাদের বাধিত করবেন। উপরোক্ত নিয়মাবলি অনুসরণ না করে কাউকে যেন প্রেসকাউন্সিলের সনদ দেওয়া না হয় তারও জোর দাবি জানাচ্ছি। লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট ওসমান এহতেসান

 

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!