নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশের ন্যায় পার্বত্য তিন জেলায় টুং টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে কামারপট্টি দোকানগুলো। দোকানের চারপাশে ছোট বড় ও মাঝারি দা বটি আর ছোরার সমাহার। কয়লার গরম চুল্লি হতে উত্তপ্ত গরম লোহাকে হাতুড়ির বাড়িতে রূপ দিচ্ছেন নানা আকৃতির ধারালো অস্ত্রে। তাই ঈদের শেষ দিনেও ব্যস্ততায় সময় পার করছেন রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের কামাররা।
এদিকে খাগড়াছড়ি জেলার কামারদের দোকান গুলোতে চলছে হাঁপর টানা পুড়ছে কয়লা এমনকি জ্বলছে লোহা। হাতুড়ি পিটিয়ে তৈরি করছেন দা, বটি, ছুরিসহ মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম। তবে সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করলেও তাদের মুখেউচ্ছা্স ও প্রাণ ভরা হাসি দেখা গিয়েছে। তবুও হাতুড়ি আর লোহার টুংটাং শব্দে মুখরিত কামার পাড়াগুলো।
কামারেরা জানান, পূর্ব পুরুষের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন । কেননা পৈতৃকভাবেই এই ব্যবসার সাথে জড়িত ও ঐতিহ্য বলে ধরে রেখেছেন অনেকেই। তাই টুংটাং শব্দ বছরের এই সময়টাতেই সবচেয়ে বেশি কাজের চাপ থাকে। তাছাড়া ১২ মাসের মধ্যে শুধু কোরবানির ঈদের সময় ছাড়া তেমন কাজ থাকে না। তাই এই পর্যন্ত কামারেরা সরকারিভাবে পাননি কোন সহায়তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রেতা জানান, আগামী বৃহস্পতিবার ঈদ। তাই গরু ও ছাগল জবাই দিতে এবং মাংস কাটতে প্রয়োজন চাকু ও ছুরির। সে কারণে বাজারে এসেছি দা, বটি ও ছুরি কিনতে। তবে গতবছরে এসব জিনিসের যে দাম ছিল তার চেয়ে এবারে দাম খানিকটা বেশি।
কামার শিল্পী বলেন, বছরের এই সময়টাতেই সবচেয়ে বেশি কাজের চাপ থাকে। বছরের এই ঈদ মৌসুমে আমাদের মূল টার্গেট থাকে। বছরের কয়েকটা দিন উপার্জন করার এই সময়ের ঘিরেই করা হয়।
উল্লেখ্য, কামার শিল্পীদের কোন সংগঠন না থাকায় সরকারিভাবে কোন সুযোগ সুবিধাও পান না। তাছাড়া কামারদের এই তেমন খোঁজ খবর কেউ নেয় না । বছরের বেশিরভাগ সময় শুধু চাপাতি, দা, বটি, চাকু, ছুরি পুরোনো অস্ত্র শান দিয়েই হয় তাদের যা উপার্জন।