নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ি জেলার ৯ উপজেলায় ৭৮টি গুচ্ছগ্রামে প্রায় ২৭ হাজার কার্ড ধারী রয়েছে। তার মধ্যে হতদরিদ্র গুচ্ছগ্রাম বাসিরা দ্রব্য মূল্যে উদ্ধোগতি এবং কর্মহীন হয়ে পরায় অনেকের রেশনকার্ড বন্ধক দিয়ে থাকে। রেশন কার্ড বন্ধকীয় দলিলে কার্ডধারীদের কিছু রেশন দেওয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও সিন্ডিকেট চক্র শর্ত বঙ্গ করে কোনো চাউল ও গম দেয়না। এছাড়াও রেশন বিতরণ এর সময় সমিতির নামে ও ক্যারিং খরচ বাবদ নেওয়া হয় অর্থ। প্রতি ডিওতে ৩ থেকে ৪কেজি করে রেশন কম দেওয়া হয়ও বলে অভিযোগ রয়েছে।
অসহায় গুচ্ছগ্রামবাসি রেশন এর চাল বিক্রয় করার জন্য সিন্ডিকেট চক্রের নিকট আসলে প্রতি কেজি চাল থেকে বর্তমান বাজার মূল্য অনুসারে অন্তত ১৫ থেকে ২০ টাকা কম হারে চাল ক্রয় করে। অথচ দেখা যায় প্রতি ৩ ডিও রেশন এর বাজার মূল্য অনুসারে দাম আছে আনুমানিক ৯ থেকে ১০ হাজার আর সিন্ডিকেট চক্রের নিকট চাল বিক্রয় করতে গেলে তারা ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করে।
জেলার বিভিন্ন উপজেলায় রেশন এর চাল বিতরনের কেন্দ্র গুলো এই প্রতিনিধি পরিদর্শন করে লক্ষ করে, খাগড়াছড়ি জেলার গুচ্ছগ্রামগুলোতে চলছে অনিয়ম, দুর্নীতি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রেশন বিতরন। হতদরিদ্রদের ও গুচ্ছগ্রাম বাসীর রেশনের চাউল বানিজ্যে মেতে উঠেছে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী। তারা অগ্রিম টাকা দিয়ে সল্প মুল্যে চাউল ক্রয় করে সমতলে পাচার করছে সিন্ডিকেট চক্র। সূত্রে জানাযায়, খাগড়াছড়ি জেলার ৯টি উপজেলার ৭৮ গুচ্ছগ্রামে প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজারে বেশি রেশন কার্ড ধারীদের থেকে কার্ড বন্ধক নিয়ে কার্ডধারীদের কোনো চাল না দিয়ে ক্রয়ের অযুহাতে সিন্ডিকেট চক্র চাউল গুলো উত্তোলন করে নিয়ে যায় এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে কার্ডধারীদের টিপ/স্বাক্ষর ছাড়াই রেশন উত্তোলন করে নিয়ে যায় উক্ত রেশন কার্ড বন্ধক সিন্ডিকেট চক্র।
বর্তমান বাজার মূল্য অনুসারে এক কেজি চাউলের মূল্য ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা, আর কার্ডধারীদের চাউলের মূল্য ধরা হয় সর্বোচ্চ ৩০-৩৫ টাকা কেজি। আবার গমের দাম প্রতি বাজার মূল্য ৪৫-৫০ টাকা কেজি হলেও কিন্তু কার্ডধারীদের প্রতি কেজি গমের দাম ২৫-৩০ টাকা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। প্রতি ডিওতে ৩ থেকে ৪কেজি করে রেশন কম দেওয়া হয়ও বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতি ডিও থেকে ৩ কেজি করে রেশন কম দিলে ২৭ হাজার কার্ডধারীর প্রতি ডিও থেকে ৮১ হাজার কেজী রেশন কম দেওয়া হয়। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৪০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
রামগড়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গুচ্ছগ্রামের কার্ডধারী ব্যক্তি বলেন, যারা রেশন এর ডিও বিক্রি করছে তারা তিন ডিও রেশন বাবদ পাচ্ছে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা করে। অর্থাৎ প্রতি ডিও বাবদ ২ হাজার ৫শত টাকা হারে বিক্রি করতে হচ্ছে কার্ডধারীদের রেশন। অথচ বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম হাকাচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা আর গম ৪০-৪৫ টাকা।
বর্তমানে নতুন অনিয়ম করছে গুচ্ছু গ্রামের প্রজেক্ট চেয়ারম্যানগণ। রেশন কার্ড এর নিচে লেখা লিখির জায়গা না থাকায় নতুন কার্ড পাওয়ার জন্য অসহায় কার্ড ধারীদের নিকট থেকে অন্যায় ভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে ১ হাজার টাকা করে। যেখানে সর্বোচ্চ খরচ হওয়ার কথা ২০ থেকে ৩০ টাকা। প্রশাসনের কোনো নিদের্শনা ছাড়াই নিচের খেয়াল খুশিমত অর্থ নির্ধারণ করে থাকে এসকল অসাধু প্রজেক্ট চেয়ারম্যান ও অসাধু ব্যক্তি।
সচেতন মহলের দাবি, প্রশাসনের তদারকির মাধ্যমে জনগনের পাওনা যেন জনগন পায় তার সঠিক ব্যবস্থা গ্রহন দাবি করেন এবং আসছে পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে যাদের রেশন কার্ড বন্ধক রয়েছে তারা যাতে ৩ ভাগের এক ভাগ রেশন পায় তার জন্য মিডিয়ার সকল সাংবাদিক ও প্রশাসনিক সহযোগিতা কামনা করেন।