নুরুল আলম:: নানান আয়োজনের মধ্যদিয়ে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা বিজিবি সেক্টরের ১০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদ্যাপিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সভাপতিত্ব করেন, গুইমারা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এস এম মোরশেদ সরোয়ার, এএফডব্লিউসি, পিএসসি।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে ২০২৩) দুপুরে গুইমারা সেক্টরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, গুইমারা সদর দপ্তর ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ কামাল মামুন বিএএমএস. এনডিসি. পিএসসি. জি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ পূর্ব রিজিয়নের ভারপ্রাপ্ত রিজিয়ন কমান্ডার কর্নেল এস এম আবুল এহসান পিবিজিএম. পিএসসি, গুইমারা সেক্টরের অতিরিক্ত পরিচালক (অপারেশন) মেজর রাশেদ মাহমুদ খাগড়াছড়ি জেলার শাখার ডিজিএফআই’র ভারপ্রাপ্ত শাখা অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ শাহ আলম সিদ্দিকী যামিনীপাড়া ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল এ বি এম জাহিদুল করিম এসি, রামগড় ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আবু বকর সিদ্দিক সাইমুম পিএসসি. জি, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার এএসইউ ডিটাসমেন্ট কমান্ডার লেঃ কর্নেল মোঃ রাশেদুজ্জামান রাশেদ পিএসসি. জি, সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল সাঈদপারভেজ মোস্তফা পিএসসি. জি, লক্ষ্মীছড়ি জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল এ এইচ এম জোবায়ের পিএসসি. জি, মাটিরাঙ্গা জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল মোঃ কামরুল হাসান পিএসসি, গুইমারা বর্ডার গার্ড হাসপাতাল পরিচালক লেঃ কর্নেল মোঃ আবু সাইদুজ্জামান এএমসি উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে গুইমারা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেমং মারমা, রামগড় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারীসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান কারবারী ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা এমপি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড়ি বাঙ্গালিদের মধ্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড সহ বিভিন্ন সামরিক বাহিনী অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সকলে একে অপরের সাথে শান্তি সম্প্রতি বজায় রেখে কিভাবে পার্বত্যাঞ্চলকে আরো উন্নত করা যায় সেই হিসাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
গুইমারা ব্রিগেড কমান্ডার জেনারেল মোঃ কামাল মামুন ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ পূর্ব রিজিয়নের ভারপ্রাপ্ত রিজিয়ন কমান্ডার কর্নেল এস এম আবুল এহসান বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে স্থিতিশীলতা রক্ষার্থে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বিজিবির বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের কারনে সুনাম অর্জন করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন সময় মানবিক সহায়তা দিয়ে অসহায়দের পাশে দাড়িয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি। এছাড়া যারা এই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
পরে কেক কাটা ও প্রীতিভোজের মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আয়োজিত অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়।