নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম, ফেনী-খাগড়াছড়ি, খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি, মানিকছড়ি-খাগড়াছড়ি, দিঘিনালা-বাঘাইছড়ি, খাগড়াছড়ি-পানছড়িসহ খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুইপাশে অবৈধভাবে আবাসস্থল ও দোকানপার্ট নির্মাণ করে দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সূত্রে জানা যায়, এসকল অবৈধ কাজের সাথে স্থানীয় সড়ক ও জনপদের কিছু অসাধু কর্মকর্তারাও জড়িত রয়েছে।
গুইমারা উপজেলার হাতিমুড়া বাজারে দুইপাশে অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন স্থায়ীভাবে দোকানপার্ট নির্মাণ করে ব্যবসা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। উক্ত জায়গায় সড়ক ও জনপদের রাস্তার উপরে সামিয়ানা টাঙিয়ে কাচাঁ মালামাল বিক্রয় প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে। গুইমারা বাজারের উপজেলা পরিষদের রাস্তার দুই পাশে অবৈধ সাবে সামিয়ানা টাঙিয়ে মালামাল বিক্রয়ে মেতে উঠেছে একটি ব্যবসায়ী মহল। এছাড়া গুইমারা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সামনে মহাসড়কের পাশে দোকান(মটর গেরেজ) নির্মাণ করে ব্যবসা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
গুইমারা উপজেলার ডাক্তারটিলা এলাকায়ও মহাসড়কের পূর্ব পাশে এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী পাকা দালান তৈরি করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছে। সে ঘরটি নির্মাণের কারনে বর্তমানে ফুটপাত দিয়ে চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে এবং যানবাহন চলাচলের সময় দূর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে সড়ক উন্নয়নের কাজ করার সময় এসব স্থাপনার জন্য বাধাঁ হয়ে দাড়াবে। তাই এসব অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানান স্থানীয় সচেতন মহল।
খাগড়াছড়ি-ফেনী, চট্টগ্রাম- খাগড়াছড়ি ও খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি মহাসড়ক সহ জেলার সব উপজেলার মহাসড়কের দুইপাশে অবৈধ দখল করে রয়েছে শত শত অবৈধ দখলদার । অবৈধ ভাবে দখল করে দোকান পার্ট নির্মাণ করার ফলে সড়কের দূর্ঘটনা সহ প্রান হানির ঘটনা ব্যপক হাড়ে বেড়েই চলেছে। এসকল স্থাপনা উচ্ছেদ করলে দূর্ঘটনা কমবে।
অন্যদিকে জালিয়াপাড়া পুলিশ ফাড়ির সাথেই মহাসড়কের দুইপাশ দখল করে ফার্নিচারের দোকান, ঘরবাড়ি নির্মাণ করে ব্যবসা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের সাথে লাগিয়ে এসব দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। যা সরকারের নিয়ম বহির্ভূত। প্রশাসনের নাগের ডগায় এমন অবৈধ স্থাপনা নিমার্ণকে নিয়ে এলাকায় ছড়িয়েছে নানান গুঞ্জন। তার ভিতর নতুন করে জালিয়াপাড়ায় একটি প্রভাবশালী মহল পুলিশ ফাড়ী সংলগ্ন এলাকায় মহাসড়কের পূর্বপাশের খাল ও রাস্তা দখল করে দোকান নির্মাণে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
খাল ও রাস্তা দখল করে স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে দোকান ঘর নির্মাণকারীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জায়গাটি আমি খাস হিসাবে দখল করেছি। বর্তমানে দোকান ঘর নির্মাণ কাজ চলছে।
সচেতন মহলের জোর দাবী, এই অবৈধ স্থাপনা গুলি অচিরেই না সড়ালে যানবাহন চলাচলে অসুবিধা ও সড়ক দূঘর্টনা বেড়ে যাবে। তাছাড়া এ ব্যপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের আরো অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে কুচক্রী মহল উৎসুক হবে। প্রশাসনের মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে গুইমারা স্থানীয় অফিসের সওজ বিভাগের কর্মকর্তা কাউসারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, অবৈধ স্থাপনার নির্মাণ করতে সরকার যে নির্দেশ দিয়েছে তা বাস্তবায়নে সড়ক ও জনপদ বিভাগ কর্মকার্তা-কর্মচারী কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুত গতিতে আইনি প্রক্রিয়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কার্যক্রম পরিচালনা করবো।
এই বিষয়ে গুইমারা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেমং মারমার সাথে কথা বললে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করার জন্য পরামর্শ দেন।
সচেতন মহল বলেন, গুইমারা উপজেলা স্থায়ী নির্বাহী অফিসার না থাকায় অপরাধিরা একের পর এক অপরাধ এবং দখলদাররা একের পর এক দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। যে যার যার মতে অবৈধ কাজে লিপ্ত হয়ে সরকারের উন্নয়ন ব্যঘাত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বর্তমানে যিনি অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন তিনি বেশ কয়েক জায়গায় দায়িত্বে থাকার কারনে প্রায় সময় তার অনুপস্থিতির সুযোগে অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে।