নুরুল আলম:: বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও উৎসব মুখর পরিবেশে এবং হিংসা-বিদ্বেষ বিভেদ পরিহার করে মানুষে মানুষে সৌভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণার মধ্যে দিয়ে খাগড়াছড়িতে পালিত হয়েছে বৌদ্ধ সম্প্রাদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বৈশাখী পুর্ণিমা (বুদ্ধ পূর্ণিমা)।
এ সময় বিহার গুলোতে বুদ্ধ পুজা, বুদ্ধ মুর্তিদান, সংঘ দান, অষ্ট পরিস্কার দান, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিন্ডদান ও নানাবিধ দান এছাড়া সন্ধ্যায় হাজার প্রদীপ প্রজ্জলন ও ফানুস বাতি উড়ানো হবে।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকালে খাগড়াছড়ি য়ংড বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে আবার বিহার প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
এ উপলক্ষে শোভাযাত্রা শেষে ধর্মীয় পূণ্যার্থীরা পঞ্চশীল গ্রহণ করেন, পঞ্চশীল প্রার্থনায় শীল প্রদান করেন সাসনা রক্ষিতা ভিক্ষু সংঘ সভাপতি ও আপার পেড়াছড়া বিহারে বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত কেলাসা মহাবির, য়ংড বৌদ্ধ বিহারে বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত ক্ষেমাসারা স্থবির। এ সময় খাগড়াছড়ি মং সার্কেল চীফ সাচিংপ্রু চৌধুরীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে খাগড়াছড়ি জেলার ৯ উপজেলার শতাধিক বৌদ্ধ বিহারে চলছে পঞ্চশীল গ্রহন, মহাসংঘ দান, হাজার প্রদীপ দান, অষ্ট পরিস্কার দান, ভিক্ষুদের পিন্ড দান, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, ধর্মদেশনা, বিশ্ব মঙ্গল কামনা করে সমাবেত প্রার্থনা ও মঙ্গল শোভাযাত্রা।
উল্লেখ্য, বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারে, প্রায় আড়াই হাজার বছর আগের এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধের জন্মগ্রহণ করেছিলেন নেপালেরলুম্বিনী কাননে। এ রাতেই তিনি বোধিজ্ঞান লাভ করেছিলেন। এছাড়াও গৌতমবুদ্ধ পরিনির্বাণ লাভ করেন এ রাতেই।