নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়িতে চলছে পাহাড় কাঠার মহোৎসব। ছোট-বড় মিলিয়ে অর্ধশতাধিক পাহাড় কাটা হয়েছে। পাহাড়ের মাটি কেটে বিক্রি, আবাস্থল গড়ে তোলা, গভির খাদ ভরাট করা হচ্ছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ ধারা ৬-এর (খ) স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কতৃর্ক সরকারি বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করা যাবে না।
সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই জেলার মাটিরাঙ্গা, রামগড়, মানিকছড়ি, লক্ষীছড়ি, মহালছড়ি, গুইমারাসহ বিভিন্ন উপজেলায় কাটা হচ্ছে পাহাড়। এছাড়াও ফসলী জমি থেকে অবাদে মাটি উত্তোলন করে বিক্রয়ে মেতে উঠেছে মহলটি। কিন্তু এসব অবৈধ কাজ প্রশাসন দেখেও না দেখের ভান করছে। পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয় সাধারণ জনগণ ও সচেতন মহল।
সিন্দুকছড়ি, তৈকর্মা, যৌথখামার, কালাপানি ও গুইমারা সদরের বিভিন্ন স্থানে অনুমতি বিহীন পাহাড় কেটেই যাচ্ছে। এভাবে পাহাড় কাটতে থাকলে আসছে বর্ষার মৌসুমে পাহাড় ধ্বসে প্রাণহানীর ঘটনা ঘটার আশঙা রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।
এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে চাপা ক্ষোভ থাকলেও প্রভাবশালীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতেও পারছেন না। প্রভাবশালী মহল ও মাটি ব্যবসায়ীরা ক্ষমতার দাপট ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাহাড়ের মাটি কেটে সাবাড় করে ফেলছে। ফলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছে।
গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রক্তিম চৌধুরী বলেন, আইন অমান্য করে পাহাড় কাটা হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।
গুইমারা থানার ওসি রাজিব চন্দ্র কর বলেন, মাটিকাটার বিষয়েটি শুনেছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।