“একাধিক মামলার আসামী আবুল কালামের তান্ডব!”
নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারার বড়পিলাকে প্রবাসীর পরিবারদের ভূমির মালিকানা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রায় দেড় মাস ধরে পানি ও বিদ্যুত সুবিধা থেকে বঞ্চিত রেখেছে প্রভাবশালী প্রতিবেশী আবুল কালাম। এছাড়া হত্যাচেষ্টা, ভূমি জবর দখল ও চুরিসহ একাধিক মামলার আসামী আবুল কালাম। ফলে পবিত্র রমজান মাসেও শতবর্ষী বৃদ্ধসহ চরম মানবেতর জীবন যাপন করছে অসহায় এই পরিবার গুলো।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লুৎফা বেগম, নাজিম উদ্দিন এবং জুহর আলী প্রবাসী এই ৩ পরিবারের সাথে কথিত আবুল কালাম ভূমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলছে। এর জের ধরে কথিত এ আবুল কালাম প্রায় দেড় মাস পূর্বে প্রবাসী পরিবারের পানির সাবমারসিবল পাম্পের পাইভ এবং বিদ্যুত সার্ভিসের লাইন কেটে দেয়। বার বার চেষ্টা করেও তাঁরা পানির পাইভ এবং বিদ্যুত সংযোগ দিতে পারছেন না।
ভূক্তভুগী প্রবাসী পরিবার লুৎফা বেগম জানান, ৩টি পরিবারের ১৫জন সদস্য,তাঁর মধ্যে আমার শতবর্ষী শশুর রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি বিছানায় প্রসাব পায়খানা করে। পানির অভাবে আমার শশুরকে সঠিক সময়ে পরিস্কার করতে পারছি না। পবিত্র রমজান মাসেও আমরা চরম মানবেতর জীবন-যাপন করছি। এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যৎ)’র নিকট অভিযোগ করি এবং গুইমারা থানায় বারবার অভিযোগ করি, কিন্তু কোনো ফল আসেনি। ক্ষমতার দাপটে সে পার পেয়ে যাচ্ছে। আমরা এর সুবিচার চাই।
এলাকার প্রবীণ শতবর্ষী মুরুব্বি আব্দুল হাই মুন্সি বলেন, প্রায় ৩০বছর যাবত লুৎফা বেগম ও নাজিম উদ্দিনরা এই জায়গায় বসবাস করছে। তাঁদের সাথে প্রতিবেশীর এমন ঘটনা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এর কঠিন বিচার হওয়া উচিত।
এই বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলেন, সে অত্যান্ত ধূর্ত প্রকৃতির লোক। বিতর্কিত ভূমির বিরোধ নিস্পত্তির জন্য এলাকাবাসীসহ অনেকবার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও পানি এবং বিদ্যুতের বিষয়ে বার বার বলার পরও সে আমাদের কথা শুনছে না।
অভিযোগের বিষয়ে আবুল কালামের কাছে জানতে চাইলে, তিনি তাঁর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করলেও তার কথা বার্তায় পানিও বিদ্যুৎতের লাইন তার ইঙ্গিতে কেটেছে বলে ধারনা পাওয়া গেছে।
এই বিষয়ে গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ রাজিব চন্দ্র কর বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। আটক হলেও জামিনে বের হয়ে সে আবার অপরাধ করছে। খুব দ্রুত পানি ও বিদ্যুৎ বিহীন পরিবারে সংযোগ দেওয়ার ব্যাবস্থা গ্রহন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নিব।