নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালার ধসে পড়া বেইলি সেতু পরিদর্শনে এমপিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর কাঠ বোঝাই ট্রাকসহ আরো একবার ধসে পড়েছিল বেইলি সেতুটি
পাথর বোঝাই ট্রাকসহ ধসে পড়া খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মাইনী বেইলি সেতু পরিদর্শন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি; জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক ও সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোরের কর্মকর্তারা। সে সাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে ধসে পড়া বেইলি ব্রিজটি সচল করার আশ্বাস দিয়েছেন সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোরের কর্মকর্তারা। অপর দিকে বিকল্প ব্রিজ দিয়ে চলছে পর্যটকবাহী ছোট গাড়িগুলো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সকাল সোয়া ১০টার দিকে পাথর বোঝাই একটি ট্রাক উঠে পড়লে বেইলি সেতুটি ধসে পড়ে। তবে কোন হতাহত হয়নি।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরাফাতুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেতুটি মেরামত করে যান চলাচলের জন্যে অনুরোধ করেছেন। তিনি জানান, বিকল্প হিসেবে সাজেক ফেরত পর্যটকদের গাড়িবহর থানা বাজারের ফুট ব্রিজ দিয়ে পারাপারের ব্যবস্থ করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, ধসে পড়া বেইলি সেতুটি দ্রুত সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
দীর্ঘ ৩ দশকের বেশি সময় আগে অস্থায়ীভাবে নির্মিত মাইনি বেইলি সেতুটি ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর কাঠ বোঝাই ট্রাকসহ আরো একবার ধসে পড়েছিল। সে সময় সাজেক পর্যটন কেন্দ্রসহ রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ ৭ দিনের মত বন্ধ ছিল।
মাইনী বেইলি সেতুটি ধসে পড়ার আশঙ্কা নিয়ে চলতি মাসের ২ মার্চ পার্বত্যনিউজ ভার্চুয়ালে একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়।