নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা, মানিকছড়ি, রামগড় ও লক্ষ্মীছড়ি থেকে অবৈধ কাঠ পাচার কালে নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন সময় আটক হয় কাঠ। সম্প্রতি বিজিবির রামগড়স্থ ৪৩ ব্যাটালিয়নের সদস্যদের হাতে ২০ লাখ ৪৫ হাজার টাকার অবৈধ কাঠ আটক হয়েছে।
ভুজপুরের হেঁয়াকো বিওপি‘র একটি টহল দল মোহাম্মদপুর এলাকা হতে আকাশমনি গাছের গোলকাঠসহ ১টি হিনো পিকআপ আটক করে। আটককৃত গাছের মূল্য প্রায় ২০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। এসময় গাড়িতে থাকা দুই ব্যক্তি পালিয়ে যায়। পরে রামগড় ব্যাটালিয়ন (৪৩ বিজিবির) পরিচালক লে. কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান জানান, আটককৃত পিকআপ ও কাঠ হেঁয়াকো বনবিট অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অন্যদিকে, গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের কালাপানি এলাকা থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ৩শত ৫০ ঘনফুট জ্বালানি কাঠ আটক করা হয়। পরে আটকৃত অবৈধ কাঠ রেঞ্জ ও বনবিভাগ কর্মকর্তাদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এবিষয়ে সিজার লিষ্ট করে বন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
অপরদিকে, মানিকছড়ি উপজেলায় একাধিক অভিযানে ২শত ৫০ ঘণফুট সেগুন, বিবিধ ও ৬শত ঘণফুট জ্বালানি কাঠ জব্দ করেছে সেনাবাহিনী। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাতে এক বিশেষ অভিযানে এসব জ্বালানি ও কাঠ জব্দ করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা।
গাড়িটানা বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৩ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির সিন্দুকছড়ি জোনের মানিকছড়ি ক্যাম্প কমান্ডার লে. মোহাম্মদ মাহবুবুল বারীর নেতৃত্বে একটি সি টাইপ টহল মানিকছড়ি বাজারের পার্শ্বে ‘রমিজ সমিল’ এলাকায় পাচারের উদ্দেশ্যে স্তূপ করে রাখা ১২০ ঘণফুট সেগুন ও ১৮০ ঘণফুট আকাশমনি অবৈধ কাঠ জব্দ করা হয়।
এছাড়া চোরাই পথে ফটিকছড়ির বিভিন্ন ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে পাচারকালে ৩টি জিপ গাড়িতে থাকা ৬শত ঘণফুট জ্বালানি কাঠ জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে এসব অবৈধ কাঠগুলো গাড়িটানা বন বিভাগে শনিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে তা হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে গাড়িটানা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা উহ্লামং চৌধুরী জানান, জব্দকৃত কাঠের স্থানীয় বাজারমূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা। জব্দ কাঠের বিষয়ে বন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
লক্ষ্মীছড়ি এলাকা থেকে অবৈধ কাঠ পাচারের সময় নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে জ্বালানি ও গোল কাঠ মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৩শত ঘনফুট জব্দ করা হয়। পরে রেঞ্জ কর্তৃপক্ষ সিজার লিষ্ট করে বন আইনে মামলা দায়ের করে।
জ্বালানি কাঠ পাচার সংক্রান্ত বিষয় জালিয়াপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা অনুকর চাকমা বলেন, জ্বালানি কাঠ, রদ্দা ও গোল কাঠ রাতের আধাঁরে অবৈধ ভাবে পাচার হচ্ছে বলে শুনেছি। কিন্তু আমাদের লোকবলের অভাবে অনেক সময় এসব অবৈধ পাচার হওয়া কাঠ আটকের সম্ভব হয়না।