নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে ইট ভাটায় পাচার করছে একটি কুচক্রি মহল। এই নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পরও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। এর সুষ্ঠ সমাধান না হলে অচিরেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে পাহাড়ের সুন্দরয্য পরিবেশ হারাবে ভারসাম্য।
সম্প্রতি রামগড় পৌরসভার বাগানটিলা কৃষিজমিতে অবৈধভাবে মাটি কাটার দায়ে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মো. শেখ ফরিদ (২৮), রামগড় লামকুপাড়া এলাকার জামালের ছেলে মো. নূর হোসেন (২৬), ফেনীর লালপুল এলাকার মো. কামাল হোসেনের ছেলে মো. আজিজুল এবং ফেনীর দাগনভূঁইয়া এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. রহমত আলী (২৮)।
ভ্রাম্যমাণ আদলত সূত্রে জানা যায়, রামগড় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মানস চন্দ্র দাশের নেতৃত্বে রামগড় পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বাগানটিলা নামক স্থানে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের দায়ে শেখ ফরিদ ও নুর হোসেন এবং সংযোগ সড়কে অবৈধভাবে উত্তোলিত মাটি পরিবহনের দায়ে আজিজুল হক ও রহমত আলীকে পৃথক পৃথক দুটি মামলায় প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে প্রত্যেককে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
এছাড়াও জেলার গুইমারার সিন্দুকছড়ি, বাইল্যাছড়ি, মাটিরাঙ্গার গোমতি, বন্যাল, তবলছড়ি, মহালছড়ি সদর ইউনিয়নের আশে পাশের, খাগড়াছড়ি সদর, দিঘীনালা, পানছড়ি, মানিকছড়ি, লক্ষ্মিছড়িতে উর্বর জমি থেকে অবাধে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ফসলী জমি থেকে কাটছে মাটি। একের পর এক এসব পাহাড় ও ফসলী জমি থেকে মাটি কাটার কারনে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে তার পাশাপাশি পাহাড়ের সুন্দরয্য বিলুপ্ত হচ্ছে। এসকল পাহাড় ও মাটি খেকোদের বিরুদ্ধে তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানান সচেতন মহল।