শিরোনাম
মঙ্গল. ডিসে ২৪, ২০২৪

রাজস্থলীতে জাতীয় স্যানিটেশন মাস ও বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উদযাপন


নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজস্থলী প্রতিনিধিঃ প্রত্যেক মানুষের জীবনে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা এবং নিয়মিত হাত ধোয়ার কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন, রাজস্থলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উবাচ মারমা । তিনি বলেন, সরকারের নিরাপদ স্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি দূর্গম পার্বত্য এলাকায় ঘরে ঘরে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে যায় তার জন্য সকল কে এগিয়ে আসতে হবে।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদে জাতীয় স্যানিটেশন মাস ও বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ- সহকারী প্রকৌশলী লিমন চন্দ্র বর্মন এর উপস্থাপনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন. পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অংনুচিং মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উচসিন মারমা, কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব আলম রনি , মেডিকেল অফিসার ডাঃ সৌরীন্দ্র বড়ুয়া, মৎস্য কর্মকর্তা ছাবেদুল হক,প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাজেরুল ইসলাম, নির্বাচন অফিসার উৎপল বড়ুয়া, সমাজ সেবা ফিল্ড সুপারভাইজার লিসা চাকমা, পল্লি সঞ্চয় কর্মকর্তা রতন দেব,রাজস্থলী থানা সহকারি উপ পরিদর্শক রানা বড়ুয়া, মহিলা সভানেত্রী লংবতি ত্রিপুরা বাঙালহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আদোমং মারমা , রাজস্থলী প্রেস ক্লাব সভাপতি আজগর আলী খান,রাজস্থলী সরকারি কলেজ প্রদর্শক বিশ্বজিৎসেন প্রমূখ। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উবাচ মারমা আরো বলেন, প্রতি বছর এ দিবসটি উদযাপনের উদ্দেশ্য হলো নিয়মিত হাত ধোয়া ও সকল কাজে নিরাপদ পানি ব্যবহার এবং পানিবাহিত রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা।

তিনি আরও বলেন, নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানার ব্যবহার এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত থাকার অন্যতম শর্ত। এজন্য সবাইকে ভালভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। আল্লাহ পাক বাণী পরিষ্কার ও পরিছন্নতা ঈমানের অঙ্গ।

আলোচনা সভার আগে উপজেলা পরিষদ এলাকা থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এ মাস স্যানিটারী মাস হিসাবে আখ্যায়িত হিসাবে মনে করি। পাহাড়ে দূর্গম এলাকার বসবাসরত জনগোষ্ঠীদের বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার অভাব দেখা যাচ্ছে, তাই দূর্গম এলাকার বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে, সরকারী ও বেসরকারী ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ বেশি ভাগ বর্ষা মৌসুমে বিশুদ্ধ পানি জনদুর্ভোগ ভুগছেন স্থানীয় দূর্গম এলাকাবাসীরা। অনেক সময় স্বাস্থ্যস্মমত ল্যাট্রিন ব্যবহারে তেমন সচেতন নেই কম ব্যবহার করতে দেখা যায়। বিভিন্ন লিফলেট উঠান বৈঠক মাধ্যমে স্বাস্থ্য বার্তা পৌঁছাতে হবে। স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। পানি বাহিত রোগ কলেরা ডায়রিয়াজনিত আমশায় সহ জন্ডিস রোগ অবিশুদ্ধ পানি ব্যবহার কারণে এরোগ হয়ে থাকে। পানিবাহিত রোগ হতে রক্ষা করতে এগিয়ে আসুন। পাহাড়ে ঝিড়ি ঝর্ণা পানি শুকিয়ে এবং প্রায় অতিকাংশ মৃত বিশুদ্ধ পানি খুবই অভাব দেখছি।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!