শিরোনাম
মঙ্গল. ডিসে ২৪, ২০২৪

বিলাইছড়ি-কারিগরপাড়া পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন ও ব্রীজ নির্মাণ কাজ উদ্ধোধন করলেন


—–দীপংকর তালুকদার এমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বিলাইছড়ি:: রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা সদর হতে কাপ্তাই উপজেলা ২ নং রাইখালী ইউনিয়নের কারিগর পাড়া পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন ও ব্রিজ নির্মাণ কাজ ভিক্তিপ্রস্তুত স্থাপনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার এমপি।

রবিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১১ঃ০০ ঘটিকায় তিনি বিলাইছড়ি উপজেলায় বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের পাশে এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন । উদ্ধধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শফি আহমেদ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান, ক্যাপ্টেন বিপুল কুমার পাল,থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলমগীর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অভিলাষ তঞ্চঙ্গ্যা।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ১ নং বিলাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান, ২ নং কেংড়াছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রামাচরণ মার্মা (রাসেল) ৩নং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিদ্যালাল তঞ্চঙ্গ্যা,৪ নং বড় থলি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতুমং মার্মা সহ জনপ্রতিনিধি,নেতা ও নেতৃবৃন্দ।

তিনি আরোও জানান, গত ৪ মে একনেকের সভায় গণভবন হতে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের অনুমোদন দেন। ৩৩৮ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

রাঙামাটি জেলা এলজিইডি সূত্রে আরও জানা যায়, কাপ্তাইয়ের কারিগর পাড়া হতে বিলাইছড়ি পর্যন্ত ( যাবতীয়) সর্বমোট ৪০ কিলোমিটার দূর্গম সড়ক নির্মান করা হবে। তার মধ্যে ৩১ কিলোমিটার কাপ্তাই অংশে এবং ৯ কিলোমিটার বিলাইছড়ি উপজেলার অংশে পড়েছে। অধিকাংশ পথই উঁচু নীঁচু পাহাড় রয়েছে বলেও জানা গেছে। এই ৪০ কিঃ মিঃ সড়কে সর্বমোট ১১ টি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। ৭ টি কাপ্তাই উপজেলা অংশে এবং ৪ টি বিলাইছড়ি উপজেলা অংশে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

বিলাইছড়ি অংশে প্রতিটি ব্রিজ হবে ৪ শত মিটার। এই বিশাল কর্মযজ্ঞে শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জনগণ, প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা। তাই অনুমোদিত প্রকল্পের অর্থ যাতে দুর্নীতি না হয়ে যথাযথভাবে ব্যয় করে বাস্তবায়িত হয় এবং জনসাধারণের ও দেশের স্বার্থে উন্নতি জন্য কাজ করা হয় সেটাই সবার প্রত্যাশা।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!