নুরুল আলম:: হিমালয় জয় করে সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া তিন কৃতি ফুটবলার আনাই, আনুচিং, মনিকা ও কোচ তৃষ্ণা চাকমা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সংবর্ধনা ও পুরস্কারসহ নগদ অর্থ প্রাপ্তির জোয়ারে ভাসতে ভাসতে অবশেষে নিজ জেলা খাগড়াছড়িতে হাজারো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন।
বাংলাদেশ দলের গর্বিত ফুটবলার ও খাগড়াছড়ির অহংকার এই চার ফুটবল তারকা শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি এসে পৌঁছলে খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কের ঠাকুরছড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, ক্রীড়া সংস্থা পরিবারের সদস্যরা।
এরপর তাদেরকে সুসজ্জিত একটি ছাদখোলা গাড়িতে করে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় পুরো শহর প্রদক্ষিণ করানো হবে। এ সময় ব্যান্ড দলের বাদ্যের তালে তালে জাতীয় পতাকা হাতে চার ফুটবল তারকা হাত নেড়ে পথচারীদের ভালোবাসার জবাব দেন। পরে ঐতিহাসিক খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে দেওয়া হয় সম্মাননা স্মারক।
এছাড়াও খাগড়াছড়ির তিন ফুটবল কন্যাকে ও এক কোচকে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস ৪ লাখ টাকা পুরস্কারের চেক হস্তান্তর করেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা।
এসয় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. নাইমূল হক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবু সাঈদ, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোধ শানে আলম ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক জুয়েল চাকমাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। হাজারো মানুষের ভালোবাসায় তিন কৃত্তিমান ফুটবলার আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন।
গত (১৯ সেপ্টেম্বর ) কাঠমুন্ডর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ লাল-সবুজের দল চ্যাম্পিয়ন হয়। এ সাফল্যে খাগড়াছড়ির তিন ফুটবল কন্যাকে ও এক কোচকে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস ওই রাতেই ৪ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন।
উল্লেখ, খাগড়াছড়ির তারকা ফুটবলারদের নানা সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস পাশে দাড়িয়েছিলেন। তিনি আনাই-আনুচিং এবং মনিকা চাকমা’র বাড়ি সরেজমিন পরিদর্শন করে তাদের মা-বাবা স্বজন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে তাদের সমস্যা জেনেছেন। সরকারি অর্থায়নে জেলা প্রশাসনের প্রতিশ্রুতিতে মনিকা চাকমা’র বাড়ি নির্মাণ ও বিদ্যুতায়ন, আনাই-আনুচিংদের বাড়িতে গভীর নলকূপ স্থাপন ও বিদ্যুতায়ন করেছেন। সে সাথে জেলার তিন কৃতি ফুটবলারকে দুই লাখ টাকা করে সঞ্চয়পত্র করে দিয়েছেন।