নুরুল আলম: খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় সাধারণ শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি একটি দাখিল মাদরাসায় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে কারিগরি বা ভোকেশনালের দু’টি ট্রেড চালু হয়েছে। শুরুতেই শিক্ষক স্বল্পতায় শ্রেণি পাঠদান ও বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজ সমস্যায় লাখ লাখ টাকার ব্যবহারিক মেশিনগুলো চালু করা যাচ্ছে না! ফলে ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড প্রিজারভিশন, জেনিোল মেকানিক্সের শিক্ষার্থীরা বাস্তবিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
উপজেলার দক্ষিণ চেঙ্গুছড়া নেছারিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় সাধারণ শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষায় ট্রেড-‘ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড প্রিজারভিশন ও জেনারেল মেকানিক্সে’ অধ্যয়ণরত ৩২ জন শিক্ষার্থী যন্ত্রণাংশের ব্যবহার ছাড়াই এ বছর দাখিল পরীক্ষা দিচ্ছে! আর বর্তমানে নবম শ্রেণিতে পড়ছে ৩৯ জন। এখানে দুই ট্রেডে শিক্ষক পদ ২, আর কর্মচারী পদ ২। জেনারেল মেকানিক্স ট্রেডে শিক্ষক কর্মরত থাকলেও ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড প্রিজারভিশন পদটি শুন্য। এছাড়া কর্মচারীর পদ দুইটিও শুন্য! এছাড়া এই দুইটি ট্রেডের শিক্ষার্থীদের বাস্তবিক শিক্ষা বা ব্যবহারিক শিক্ষার জন্য কয়েক লাখ টাকার বিদেশি যন্ত্রণাংশ লো-ভোল্টেজেরের কারণে চালু করা সম্ভব হচ্ছে না! এসব মেশিন চালু করতে হলে থ্রি পেইজে হাই ভোল্টেজ বিদ্যুৎ প্রয়োজন।
জেনারেল মেকানিক্স ট্রেডের শিক্ষক মো. মঞ্জুর রহমান বলেন, কারিগর শিক্ষা মানেই হাতে-কলমে শেখা। কিন্তু এখানে দুই ট্রেডের ব্যবহারিক সকল মেশিন, যন্ত্রাংশ থাকা স্বত্ত্বেও বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজেরের কারণে সব মেশিনাদি বাক্সবন্দি!
সুপার মাও. মো. বেলাল উদ্দীন বলেন, অনগ্রসর জনপদে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। এতে করে এলাকায় বেকারত্ব দূরীকরণসহ প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। কারিগরি ট্রেড চালুর পর ভবন নির্মাণ ও দুই ট্রেডে ২০ রকমের যন্ত্রণাংশসহ প্রচুর ব্যবহারিক মালামাল সরবরাহ করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর । কিন্তু এখনো জনবল পর্যাপ্ত না হওয়া এবং লো-ভোল্টেজ সমস্যায় লাখ লাখ টাকার মেশিন চালু করা যাচ্ছে না। ফলে হাতে-কলমে বাস্তবিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে লো-ভোল্টেজ সমাধানে থ্রি পেইজ বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ জরুরি। বিদ্যুৎ বিভাগের সহযোগিতা ছাড়া এই সংকট উত্তরণ সম্ভব না ।