নুরুল আলম:: হিমালয় জয় করে সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া খাগড়াছড়ির তিন কৃতি ফুটবলার আনাই, আনুচিং, মনিকা ও কোচ তৃষ্ণা চাকমাকে আগামীকাল শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নিজ জেলা খাগড়াছড়ি ফিরছেন। বাংলাদেশ দলের গর্বিত ফুটবলার ও খাগড়াছড়ির অহংকার এই চার ফুটবল তারকাকে গ্রহণে প্রস্তুত খাগড়াছড়ি জেলাবাসীও। খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থা তাদের বরণে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়েছে।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় খাগড়াছড়ি জেলার চার ফুটবল তারকা খাগড়াছড়ি এসে পৌঁছাবেন। ঠাকুরছড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করা হবে। এর পর তাদেরকে সুসজ্জিত একটি ছাদ খোলা গাড়িতে করে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় পুরো শহর প্রদক্ষিণ করানো হবে। এর পর ঐতিহাসিক খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে তাদের দেওয়া হবে সন্মানমা স্বারক। অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি জেলার শীর্ষ পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
গত (১৯ সেপ্টেম্বর ) কাঠমুন্ডর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ লাল-সবুজের দল চ্যাম্পিয়ন হয়। এ সাফল্যে খাগড়াছড়ির তিন ফুটবল কন্যাকে ও এক কোচকে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি প্রতাপ
চন্দ্র বিশ্বাস ঐ রাতেই ৪ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন।
উল্লেখ, খাগড়াছড়ির তারকা ফুটবলারদের নানা সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস পাশে দাড়িয়েছিলেন। তিনি আনাই-আনুচিং এবং মনিকা চাকমার বাড়ি সরেজমিন পরিদর্শন করে তাদের মা-বাবা স্বজন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে তাদের সমস্যা জেনেছেন। সরকারি অর্থায়নে জেলা প্রশাসনের প্রতিশ্রুত মনিকা চাকমার বাড়ি নির্মাণ ও বিদ্যুতায়ন, আনাই-আনুচিংদের বাড়িতে গভীর নলকূপ স্থাপন ও
বিদ্যুতায়ন করেছেন। সে সাথে জেলার তিন কৃতি ফুটবলারকে দুই লক্ষ টাকা করে সঞ্চয়পত্র করে দিয়েছেন। সর্বশেষ এবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় তিন কৃতি ফুটবলার ও সহকারী কোচ তৃষ্ণা চাকমাকেও এক লক্ষ টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।