নুরুল আলম: খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় ২০১৭ সালে স্থাপিত যৌথখামার জুনিয়র হাই স্কুলটি ২০২১-২০২২ সালে জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মান করা হয় স্থাপনা। কিন্তু প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিদ্যালয়টি নানান সমস্যায় জর্জরিত। এর ভিতর উল্লেখযোগ্য হলো বিদ্যুৎ সমস্যা, খেলার মাঠ সমস্যা, শিক্ষক-শিক্ষিকা আবাসিক নেই, ছাত্র/ছাত্রীদের আবাসিক নেই, শিক্ষক/শিক্ষিকা সংকট । এছাড়াও বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি এই যৌথখামার জুনিয়র হাইস্কুলটি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, যৌথ খামার জুনিয়র হাই স্কুলটি বিদ্যুৎ সমস্যা, শিক্ষক/শিক্ষীকার অভাবসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়েই পরিচালিত হচ্ছে। পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে বিদ্যালয়টিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় কচি-কাঁচা শিশু কিশোরদের।
বিদ্যালয়টির বর্তমান অবস্থা সংক্রান্ত বিষয় প্রধান শিক্ষক মেমং মারমা সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার র্দীঘ ৫বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও বিদ্যুতের সমস্যা, শিক্ষকের ঘাটতি থেকেই গেছে। প্রতিবছরি ভর্তি হচ্ছে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। এসকল শিক্ষার্থীদের মান সম্মত শিক্ষা ও পাঠ দানের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত শিক্ষক। বর্তমানে ৫জন শিক্ষক ও একজন অফিস সহকারি নিয়েই প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। পর্যাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারি নিয়োগের মাধ্যমে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার মান উন্নয়ন করা সম্ভব।
এই বিষয় যৌথ খামার জুনিয়র হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও গুইমারা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেমং মারমা সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ২০১৭ সালে স্থাপিত বিদ্যালয়টিতে ৫ জন শিক্ষক ও একজন অফিস সহকারি দিয়ে মোটামোটি ভালোভাবেই পরিচালিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও উৎসাহিত হচ্ছে। বিদ্যালয়টি ম্যানেজিং কমিটির সাথে আলোচনা করে শিক্ষার মান উন্নয়নের স্বার্থে পর্যাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারি নিয়োগ করা হবে। এছাড়াও বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনের জন্য প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে যেসকল সমস্যা আছে সেসকল সমস্যা সমাধানের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদসহ বিভিন্ন সরকারি উদ্ধোতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।