নুরুল আলম: অগ্নিকাণ্ডে মাথা গোজার শেষ সম্বলটুকু পুড়ে ছাই। সাথে পুড়েছে আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ঘর বানানোর ধার করা টাকা। শাহাজানী বেগমের আহাজারি দেখে যে কেউ ফেলবে চোখের জল। সহযোগিতা হিসেবে পেয়েছে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মানবিক সহায়তা কর্মসূচি থেকে দুই বান টিন আর ছয় হাজার টাকা। বর্তমানে রেডক্রিসেন্টের তাবুতে কোন রকম দিন যাচ্ছে।
অবশেষে শাহাজানীর পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল পানছড়ি থানার ওসি আনচারুল করিম। ১৫ আগস্ট বিকেলে শাহাজানীর হাতে তুলে দিয়েছে চল্লিশ হাজার টাকা।
ওসি আনচারুল বলেন, আর আহাজারি নয়! কাল থেকেই ঘরের কাজ শুরু ধরেন। আমরা পাশে আছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার দেব। তিনি বলেন, ওসি সাহেব সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে ঘর নির্মাণের জন্য যে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে তা পানছড়ির জন্য একটি দৃষ্টান্ত।
গত ৪ আগস্ট সকাল সাড়ে দশটার দিকে পানছড়ি টিএন্ডটিতে আগুনে পুড়ে ছাই হয় স্বামীহারা শাহাজানীর বসতঘর। শাহাজানীর দাবি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের জন্য কয়েক দফা আবেদন করলেও কেউ আমার প্রতি সু-নজর দেয়নি। পানছড়ি থানার ওসি সহযোগিতার হাত না বাড়ালে খোলা আকাশের নীচেই আমাকে থাকতে হতো। তিনি বার বার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।