নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গায় “মাটিরাঙ্গা শ্রমিক কল্যাণ বহুমূখী সমবায় সমিতির নামে সম্পত্তি ক্রয় করলেও ভূমিদস্যূদের ভুয়াদলিলের কারণে সমিতির সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাটিরাঙ্গায় “মাটিরাঙ্গা শ্রমিক কল্যাণ বহুমূখী সমবায় সমিতির নামে জয় সম্পত্তিক ক্রয় করে ১৭৪ জন সদস্য সেগুন বাগান সৃজনশীল করেন এতে করে ওহাব আলী বায়না পত্র করলেও রেজিস্ট্রির আগে তিনি মারা যান। যার কারণে সমিতির লোকজন স্থানীয় দলিলের উপর নির্ভর করে তার ওয়াশিদের কে জমি রেজিষ্ট্রি দেওয়া জন্য তাগিদ দেন। এতে করে পাঁচজন ওয়ারিশ দলিল রেজিস্ট্রি দেওয়ার জন্য রাজি হলে অপর সন্তান থানায় মুশলাকা দিয়ে আসেন কিন্তু বড় সন্তান ও তার বড় মেয়ে ভূমিদস্যুদের শলা পরামর্শে রেজিস্ট্রি দিতে নারাজি দেন। এতে করে সমিতির অসহায় গরিব লোকগুলো উপর মূখে পড়েন। সংগঠনটির সভাপতি রোশন আলী জানান, ভূমিটি ১৯৯নং বাইল্যাছড়ি মৌজার ৮০নং হোল্ডিং এর পশ্চিম মুসলিমপাড়ায় যার চৌহুদী উত্তরে সরকারি রাস্তা, দক্ষিণে নাসী, পশ্চিমে ওহাব আলী, পূর্বে রফিক।
বিভিন্ন সময় মাটিরাঙ্গা পৌরসভা ও উপজেলা প্রসাশনের কাছে আবেদন করলেও ১৭৪ জন মানুষ কোন আইনি সহযোগিতা পায় নাই, তাই এই প্রতিনিধির কাছে এসে তাদের মনের আকুতির কথা তুলে ধরেন।
এদিকে সরেজমিনে তদন্ত করে দেখা যায়, ওহাব আলীর বড় সন্তান প্রতারকের মাধ্যমে একটি দান-কবলা দলিল বানিয়ে নেয়। যা ওহাব আলী স্বাক্ষর এর সাথে কোন মিল নেই। ভূয়া দলিল বানিয়ে আদালতকে বোকা বানিয়ে দিল, এই নিয়ে সমিতির লোকজন আদালতে চ্যালেঞ্জ করে দিলেন তাই সমিতির লোকজন মনে করেন মহামান্য আদালতের কাছে তারা ন্যায় বিচার পাবে। এই ব্যাপারে সরেজমিনে তদন্ত করে দেখেন, প্রকৃত মুল মানিক মাটিরাঙ্গা শ্রমিক কল্যাণ বহুমূখী সমবায় সমিতির জায়গা এবং সৃজন সৃজনশীল বাগান থানায় মহাবালীর বড় সন্তানকে কাগজপত্র নিয়ে আসতে বললে সে আইনের তোয়াক্কা না করে কাগজপত্র শো করতে পারেননি তাই আজও থাকার কথা থাকলেও সে বলে দেন আদালত যারা রায় দিবে তাই মেনে নিবেন এতে করে সাধারণ মানুষ প্রকৃত মূল ভূমিটি ফিরে পাবে বলে আশা করেন।
সভাপতি বলেন, সমিতির লোকজন সংগঠনের সেক্রেটারি মুজবুর রহমান সৃজনশীল বাগান পরিষ্কার করতে গেলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে গেলে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। মাটিরাঙ্গা শ্রমিক কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতির সেক্রেটারি মজিদ এই ব্যাপারে মাটিরাঙ্গা থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ দায়ের করে শ্রমিক কল্যাণ বহুমূখী সমবায় সমিতির সদস্যদের ভূমি ফিরে পেতে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।