নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটি: রাঙামাটি রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়া ইউনিয়নের ইসলামপুরে বন্যহাতির তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। প্রায় প্রতি রাতে ৩নং বাঙালহালিয়ার ইসলামপুর, শফিপুর, কুদুমছড়া বিভিন্ন লোকালয়ে হানা দিচ্ছে বন্য হাতির পাল। পাশ্ববর্তী রাঙুনীয়া উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে গত একমাসের ব্যবধানে তিনজনের প্রানহানি ঘটে।
সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি এবং কৃষকের ফসলাদি নষ্ট করছে এসব বন্যহাতির দল। তারই প্রভাবপড়ে রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায়। এতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এসব এলাকা সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, ১০ থেকে ১২টি হাতি গ্রামের ভেতর এসে বেশ কয়েকজনের ফসলাদী নষ্ট করছে এবং কলাগাছ খেয়ে সাবাড় করছে। এভাবে প্রায় কয়েকদিন ধরে উপজেলার ৩নং বাঙালহালিয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় হানা দিচ্ছে বন্যহাতির পাল। আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন এলাকাবাসী। ইতোপূর্বে আক্রমণে রাজস্থলীতে অন্তত ৫ থেকে ৬ জন মানুষ নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে অনেকেই। এ ছাড়াও ঘরবাড়ি ফসলাদিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হাতির আক্রমণে বনবিভাগ ক্ষতিপূরণ দিলে ও লোকালয়ে হাতি আসা বন্ধে কোন কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।
বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘হাতির পাল উত্তপ্ত করা যাবে না, আমার লোক পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। তারা হাতি তাড়ানোর জন্য যা যা করণীয় আছে সে ব্যবস্থা করবেন।
এ ব্যাপারে রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শান্তনু কুমার দাশ বলেন, ‘আমি শুনেছি তবে বনবিভাগের সহযোগিতায় হাতি তাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাহাড় কেটে বাগান উজাড় করার ফলেই বনে হাতির খাদ্য সংস্থান হচ্ছেনা। ফলে লোকালয়ে হানা দিচ্ছে বন্যহাতির পাল। তাই বনভূমি উজাড় ঠেকানোর পাশাপাশি বনে হাতির পযাপ্ত খাদ্য সংস্থান করতে হবে। এ জন্য বৃহৎ উদ্যোগ নেওয়া জরুরি বন বিভাগের।