নিজস্ব প্রতিবেদক,খাগড়াছড়ি:: পরিবেশ বাঁচাতে বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিহার্য। আমাদের বেঁচে থাকার মুল হচ্ছে অক্সিজেন। আর সে অক্সিজেন দিচ্ছে যাচ্ছে বৃক্ষ। তাই বৃক্ষ নিধন নয়, আমাদের বেঁচে থাকতে সুন্দর বাসযোগ্য পৃথিবীর জন্য বৃক্ষের কোন বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি টাউন প্রাঙ্গনে সপ্তাহ ব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এ কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০২১ ব্যাক্তিমালিকানাধীন নার্সারী ক্যাটাগরিতে জেলা পর্যায়ে মনোনিত ওয়াইল্ড গার্ডেন নার্সারীসহ ৩টি নার্সারী ওসহ বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলায় ২০২২ অংশ নেওয়া নানা ক্যাটাগরিকে ক্রেষ্ট ও পুরস্কার তুলে দেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে একের পর এক বৃক্ষ ও বনায়ন বৃদ্ধির লক্ষে যেসব কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন তা আর কোন সরকারের সময়ে হাতে নেয়নি। লাল-সবুজ এর বাংলাদেশে বাসযোগ্য সবুজ-সুন্দর পরিবেশের জন্য সকলের দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে বৃক্ষ রোপণের আহŸান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে খাগড়ছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান, খাগড়াছড়ির বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবির প্রমূখ। এতে অন্যানদের মধ্যে খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) গোলাম মোহাম্মদ বাতেন, জেলা দুর্নীতি দমন কমিটির আহ্বায়ক সুদর্শন দত্ত, খাগড়াছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কাশেম,সাবেক সাধারন সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শওকত উল ইসলাম, খাগড়াছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাহী সদস্য মো: রফিক উদ্দিন সিদ্দিক, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি জিতেন বড়ুয়া এতে অংশ নেন।
খাগড়াছড়ি বন বিভাগ এর আয়োজন ও জেলা প্রশাসকের এর সহযোগিতায় “বৃক্ষপানে প্রকৃতি-পরিবেশ, আগামী প্রজন্মের টেকসই বাংলাদেশ” শ্লোগানে আয়োজিত সপ্তাহ ব্যাপী এ মেলায় প্রায় ২২ স্টল অংশ নেয়।
উল্লেখ যে, গত বুধবার (২৯ জুন ২০২২) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে টাউন হলে গিয়ে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২২ এর শুভ উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস। পরে এক আলোচনা সভা করে।