শিরোনাম
মঙ্গল. ডিসে ২৪, ২০২৪

ভেঙে গেল একমাত্র বাঁশের সাঁকো দুর্ভোগে নারানগিরির হাজারো মানুষ


নিজস্ব প্রতিবেদক:: চলমান কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ী ঢলে ভেঙে গেলো রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ২নং রাইখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নারানগিরিমুখ এলাকার হাজারো মানুষের পারাপারের একমাত্র বাঁশের সাঁকোটি। যার ফলে যাতায়াতে চরম সমস্যাই ভুগছেন ওই পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দারা।

সোমবার সকালে ঐ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের ফলে ব্রিজের মাঝখানে কিছু অংশ ভেঙে গেছে। ফলে দুই পাড়ের জনগণ এই ব্রিজ দিয়ে পার হতে পারছে না। বিশেষ করে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা নারানগিরি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে আসতে পারছেন না।

স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ রাশেদ, ইউচুফ সওদাগর, মোহাম্মদ আজিজ মিয়া সহ এলাকাবাসীরা জানান, নারানগিরি ১নং পাড়ায় হাজারো মানুষের বসবাস। প্রতিদিন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় পড়ুয়া শতশত ছাত্র-ছাত্রী এ সাকোঁটি দিয়ে পার হয়। এছাড়া জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হয় গর্ভবতী মা সহ স্থানীয় জনগণরা। যা নিত্যদিনের কষ্টে পরিণত হয়েছিলো। এছাড়া বেশ কয়েকবার ভারীবৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলে সাঁকোটি পারাপারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। পরে তারা নিজেদের সহযোগিতায় ব্রীজটি কোনভাবে মেরামত করে পারপার হয়। কিন্তু টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলে গত রবিবার সাঁকোটি আবারো ভেঙে গেলো। এখন নারানগিরি মুখ এলাকার মানুষের দুর্ভোগ চরম সীমায় পৌঁছেছে বলে তারা জানান।

এদিকে ইতপূর্বে এই বাঁশের সাঁকোটির দুর্দশা চিত্র নিয়ে কাপ্তাইয়ের স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রতিবেদন করেছিলো। যার ফলে সাঁকোর জায়গায় নতুন ব্রীজ নির্মানের জন্য সরকারি অনুমোদন হওয়ার কথা শোনা গিয়েছিলো। কিন্তু কেন এখনো ব্রীজটি নির্মিত হচ্ছেনা, এতে হতাশ হয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

এই বিষয়ে স্থানীয় ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শৈবাল সরকার জানান, সম্প্রতি নতুন ব্রীজটির নির্মানের কাজ রাঙামাটি জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে টেন্ডারের অপেক্ষায় আছে। তবে বর্তমানে দেশের বাজারে রড সিমেন্টের দাম বেড়ে যাওয়ায় থমকে গেছে কাজটি। তবে আগামী জুনের পরে এই ব্রীজের টেন্ডার কাজ শুরু হতে পারে বলে তিনি জানান।

২নং রাইখালী ইউপি চেয়ারম্যান মংক্য মারমা বলেন, এই বাঁশের সাকোঁটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করে স্থানীয় বাসিন্দারা। এখানে সাঁকোর জায়গায় একটি ব্রীজ নির্মিত হওয়া অনেক জরুরী।

এবিষয়ে এলজিইডির কাপ্তাইয়ের সিনিয়র প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, করোনার কারণে সেতু নির্মানের কাজটি পিছিয়ে পরার ফলে এখনো অনুমোদন হয়নি সেতুটির নির্মান কাজ। তবে তিনি এই বিষয়ে, আবারো উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত সময়ে ব্রীজটি নির্মাণে ব্যবস্থা করার আশ্বাস প্রদান করেন।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!