নিজস্ব প্রতিবেদক:: প্রশাসনের নানা তদারকির পরও থামানো যাচ্ছে না খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ পাহাড়কাটা। প্রকাশ্যে বা গোপনে একাধিক চক্র চালিয়ে যাচ্ছে পাহাড় কাটার এই মহোৎসব। এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে গুইমারা উপজেলার বড়পিলাক বাজার সংলগ্ন মাদ্রাসার পাশে রাতের অন্ধকারে চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। গত ২৯ মে (রবিবার) রাত ১১ টার দিকে পাহাড় কাটার উৎসবে মেতে উঠেন পাহাড়খেকো ছৈয়দ হোসেন আশকারীসহ একটি মহল।
সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এসকল দুষ্টচক্র বোল্ডেজার এর মাধ্যমে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার কাজে নিজেদের স্বার্থ হাসিলে লিপ্ত থাকে। গত (রবিবার) রাতের অন্ধকারে বোল্ডেজার দিয়ে পাহাড় কাটার শব্দ শুনে এলাকাবাসী ও স্থানীয় সাংবাদিকেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ছবি তুলতে গেলে পাহাড়খেকোরা এতে বাঁধা প্রদান করে এবং সাংবাদিকদের হুমকি-ধামকি দেয় মো: মোকবুল হোসেন, শুক্কুর আলী (মাজি), দস্তগির, আবুল কালামসহ একটি মহল।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পাহাড়খেকোরা প্রভাবশালী একটি মহলের দোহাই দিয়ে প্রতিনিয়ত তাদের অবৈধ পাহাড় কাটার মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন ধরণের হুমকির শিকার হতে হয় বলেও জানান এলাকাবাসীরা। এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি জানান।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মোঃ ছানাউল্লাহ সাংবাদিকদেরকে অভিযোগ করে বলেন, পাহাড়খেকোরা অবৈধভাবে মসজিদ ও কবরস্থানের জয়গা দখল করে তারা বারবার মাটি কাটার কাজে লিপ্ত হচ্ছে। জোর পূর্বক জায়গা দখল করে নেওয়ার অভিযোগে বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে।
অবৈধভাবে পাহাড় কাটার বিষয়ে গুইমারা থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, জমির মালিক জমি কাটার চেষ্টা করেছিল। এলাকাবাসী ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে পাহাড় কাটার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা স্থানীয় সাংবাদিকদের হুমকি ও অসাদাচারণ করায় গুইমারা প্রেসক্লাবের এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সভাপতি নুরুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক দুলাল আহাম্মদ ও সকল সদস্যরা।