নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে ৪ লক্ষ ১৩ হাজার ৬ শত ১৬ টাকা নিয়ে পলাতক উক্ত কার্যালয়ের নিরাপত্তা প্রহরী মো: ফারুক মিয়া (৪৩)। পলাতক ফারুক মিয়া গত ১৮ নভেম্বর ২০১৫ তারিখ হইতে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন সূতে জানাযায়। নিরাপত্তা প্রহরী সরকারি টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বেড়েছে।
মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসের কাম কম্পিউটার অপারেটর আমো মগ অভিযোগ করে বলেন, গত ১৬ মে ২০২২ তারিখ সকালে পলাতক নিরাপত্তা প্রহরী মো: ফারুক মিয়াকে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, ঐতিহাসিক মজিবনগর দিবস এর বিল ও মার্চ ও মে মাসের কম্পিউটার খাতের মোট ৪ লক্ষ ১৩ হাজার ৬ শত ১৬ টাকা বিল মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিদের্শে সকাল ১১ ঘটিকায় সোনালী ব্যাংক থেকে উত্তোলনের করে নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে আসার জন্য বলা হয়। কিন্তু দুপুর হয়ে গেলেও পলাতক মো: ফারুক মিয়া মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিস কার্যালয়ে না আসায় উক্ত অফিসের কাম কম্পিটার অপারেটর আমো মগ (৫৯) অনুমান ১ টা ২০ ঘটিকায় সময় ফারুক মিয়াকে ফোন করে বিলার টাকা উত্তোলনের বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন ফারুক মিয়া বলেন এখনো বিলের টাকা উত্তোলন করা হয়নি। এর পর একে একে অনেকবার কল করার পর সে এক পর্যায়ে বলে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে আমি অফিসের দিকে টাকা নিয়ে আসতেছি। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকাল হয়ে গেলেও পলাতক মো: ফারুক মিয়া আর আসেনি। পরে তাকে আবারে ফোন করে খোজ নিতে গেলে তার যোগাযোগ এর মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তিতে তাকে বিভিন্ন জায়গায় খুজা খুজি করার না পাওয়া এবং বিভিন্ন লোকমূখে শুনতে পারি যে মো: ফারুক মিয়া হাতে ব্যাগ নিয়ে মহালছড়ি বাজার হতে খাগড়াছড়ি বাস স্ট্যান্ড দিকে যায়। মো: ফারুক মিয়া অসৎ উদ্দেশ্যে সরকরি টাকা আত্মসাৎ করার জন্য উক্ত বিলের সমুদয় টাকা নিয়ে মোবাইল ও যাবতীয় যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে আত্মগোপনে রহিয়াছে বলে জানান অভিযোগকারী আমো মগ। এই নিয়ে ফারুক এর বিরুদ্ধে কাম কম্পিউটার আমো মগ মহালছড়ি থানা জিডি করেন যার জিডি নং-৬২২, তারিখ ১৭-০৫-২০২২।
এ বিষয়ে মহালছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো মন্তব্য না দিয়ে সরাসরি দেখা করার জন্য বলে টেলিফোন রেখেদেন।
সচেতন মহল বলেন, এতগুলো সরকারি টাকা উত্তোলনের জন্য একজন নিরাপত্তা প্রহরীকে কেন দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে খতিয়ে দেখার যোরদাবি জানান।
অপরদিকে মো: ফারুক হোসেন এর স্ত্রী আয়েশা আক্তার (৩৩) জানান, মো: ফারুক মিয়া মহালছড়ি উপজেলা পরিষদের নাইট গার্ড হিসেবে নিষ্ঠার সাথে আনুমানিক ৬/৭ বছর যাবৎ চাকরি করে আসছে। গত ১৬/০৫/২০২২ইং তারিখে আনুমানিক দুপুর ২:০০ ঘটিকার সময় তিনি বাসা থেকে বের হয়ে অফিসে যাচ্ছি বলে চলে যান এর পর থেকে তার সাথে পারিবারিক ভাবে কারো কোন প্রকার যোগাযোগ হয়নি এবং বিভিন্ন জায়গাও খোজ নেন কিন্তু তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।