নিজস্ব প্রতিবেদক:: “বুদ্ধ ধর্ম সংঘ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ভিক্ষু সংঘ, সার্বজনীন বুদ্ধ (বৈশাখী) উদযাপন কমিটি, খাগড়াছড়ি সাসনা রাক্ষিতা ভিক্ষু সংঘ ও বাংলাদেশ বুডিষ্ট কল্যাণ পরিষদের আয়োজনে তথাগত ভগবান বুদ্ধের ত্রি-বার্ষিক বিজড়িত শুভ বৈশাখী পূর্ণিমা উপলক্ষে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৫মে) সকাল থেকে জেলা শহরের য়ংড বৌদ্ধ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এ সময় সার্বজনীন মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স এর চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি। শোভাযাত্রাটি য়ংড বৌদ্ধ হয়ে জেলা শহরের চেঙ্গী স্কয়ারস্থ শিবলী বুদ্ধ বিহারে এসে শেষ হয়। পরে বিহার প্রাঙ্গণে ধর্মদেশনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের হাজার হাজার পূণ্যার্থী।
এ উপলক্ষে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীর প্রতিনিধিরা জানান, বৈশাখী পূর্ণিমা/বু্দ্ধ পূর্ণিমা বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের পবিত্রতম উৎসব। এই পুণ্যোৎসব বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয়। বৈশাখী পূর্ণিমা দিনটি বুদ্ধের ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত। এই পবিত্র তিথিতে বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন, বোধি বা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন এবং মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন।
এই দিনে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীগণ স্নান করেন, শুচিবস্ত্র পরিধান করে মন্দিরে বুদ্ধের বন্দনায় রত থাকেন। ভক্তগণ প্রতিটি মন্দিরে বহু প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করেন, ফুলের মালা দিয়ে মন্দিরগৃহ সুশোভিত করে বুদ্ধের আরাধনায় নিমগ্ন হন। এছাড়া বুদ্ধগণ এই দিনে বুদ্ধ পূজার পাশাপাশি পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেত প্রার্থনা করে থাকেন।
এ শোভাযাত্রায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিন পার্বত্যজেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) গোলাম মোহাম্মদ বাতেন, খাগড়াছড়ি বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি রুপনা চাকমা কনি, জেলা পরিষদের সদস্য শতরুপা চাকমা, জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া প্রমুখ।