নিজস্ব প্রতিবেদক:: নিখোঁজ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (১২ মে) ভোর প্রায় সাড়ে ৬টায় অপূর্ব সাহার মৃত দেহ কাপ্তাইয়ের সীতাঘাট এলাকার কর্ণফুলী নদী থেকে উদ্ধার করেছে কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহীন আলম। এছাড়াও গত বুধবার ১১ মে বিকালে নিখোঁজে প্রায় ১ ঘন্টার পর লোকেশ বৈদ্য (১৯)’র লাশ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত অপূর্ব সাহা (১৯) চট্টগ্রাম মহানগরস্থ মাদারবাড়ী এলাকার মৃত অরুপ সাহার ছেলে। তার পৈত্রিক বাড়ী ফেনী জেলায় হলেও তারা দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামের মাদারবাড়ী এলাকায় বসবাস করে আসছেন।
শীলছড়ির স্থানীয় ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ সরোয়ার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার ভোর প্রায় সাড়ে ৫টায় জেলেদের মাছ ধরার রশির টানের সাথে ভেসে উঠে নিখোঁজ অপূর্ব সাহার লাশ। পরে সাড়ে ৬টার দিকে কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে লাশটি উদ্ধার করে চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সকালে যোগাযোগ করা হলে চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত অপূর্ব সাহার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন রকম আপত্তি না থাকায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা নিয়ে লাশটি পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১১ মে) চট্টগ্রাম থেকে আগত ৬ সদস্যের একটি পর্যটক দল সীতাঘাট এলাকার কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নেমে নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। সে সময় ৩ জন পর্যটক সাতঁরিয়ে নদীর তীরে উঠতে সক্ষম হলেও অপর ৩ জন নদীতে তলিয়ে যায়। দ্রুত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের লোকজন এসে তলিয়ে যাওয়া ৩ জনের মধ্যে মূমুর্ষ অবস্থায় ধীমান (২০) কে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ফয়জুল ইসলাম মন্ডলের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের কাপ্তাই নৌ বাহিনী ডুবুরি দলের কর্মীরা বিকেল প্রায় ৫টার সময় নিখোঁজ লোকেশ বৈদ্যে (১৯) এর মরদেহ উদ্ধার করেন। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর সদরঘাট এলাকার অপু বৈদ্যের ছেলে। কিন্তু আরো ১ জন নিখোঁজ থেকে যায়।