নুরুল আলম:: “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার” এই উক্তকে সামনে রেখে পাহাড়ের সকলের মূখে হাঁসি ফোঁটাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, পাহাড়ি-বাঙ্গালীসহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে থেকে সব ধরনের সহায়তা করে যাচ্ছে ড়েুনাবাহিনী। ঈদ আনন্দ ভাগাভাগী করতে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া বলেও তিনি জানান।
রোবরার (১ মে ২০২২) দীঘিনালা উপজেলাধীন মেরুং ইউনিয়নের বেতছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন ও সেনা পরিবার কল্যাণ সংস্থার যৌথ উদ্যোগে ৬শতাধিক অসামর্থ্য পরিবারকে ঈদ সামগ্রী উপহার,৩০ জন এতিম শিশুর মাঝে ঈদের পোশাক ও নগদ অর্থ তুলে দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে কোন সন্ত্রাসীর ছাড় দেওয়া হবে না। সব ধরনের চাঁদাবাজী বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা আর্থিক ভাবে দূর্বল হয়ে গেলে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এগিয়ে নিতে পারবে না। পাহাড় হবে শান্তি-সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত। আর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময় সকলের সুখে-দু:খে আছে। সকলের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নিতে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। ভবিষ্যতেও সব ধরনের অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
এতে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, কমান্ডারের সহধর্মিণী সেপকস সহসভানেত্রী মিসেস রাবেয়া জাহাঙ্গীর,দীঘিনালা জোনের জোন কমান্ডার সস্ত্রীক লে. কর্নেল চৌধুরী মোহাম্মদ ফাহিম আশরাফী ও মিসেস রেহনুমা মুনজুর ও মেরুং ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকী উপস্থিত ছিলেন।
এসব ঈদ উপহার বিতরণ শেষে মেরুং ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকী ও ইউপি সদস্য বাবু ঘনশ্যাম ত্রিপুরা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাহাড়ি-বাঙালি নির্বিশেষ সাধারণ মানুষের মুখে হাঁসি ফোটাতে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্প্রীতির অন্যান্য দৃষ্টান্ত বলেও মন্তব্য করে জনপ্রতিনিধিরা। এদিকে- ঈদ উপহার পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। একই সাথে এ ধরনের সহায়তা সব সময় অব্যাহত রাখায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি।