শিরোনাম
মঙ্গল. ডিসে ২৪, ২০২৪


নিজস্ব প্রতিবেদক:: নিয়মনীতি অমান্য করে পাহাড় কাঁটা হচ্ছে। খাগড়াছড়িসহ গুইমারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় কাটার অভিযোগ উঠেছে। গুইমারার হাফছড়ি, জালিয়াপাড়া, হাতিমুড়া, সিন্দুকছড়ি, বাইল্যাছড়ি, কালাপানি, দেওয়ানপাড়া। অন্যদিকে, রামগড়ের নাকাপা, পাতাছড়া এলাকা সহ বিভিন্ন স্থানে স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় ও ফসলী জমি কেঁটে মাটি বিক্রয়ে মহাৎসব চলছে।

জানা যায়, দিনদুপুরে গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি পাহাড় কাঁটছেন রফিকুল ইসলাম, শুক্কুর আলীসহ একটি দুষ্টু চক্র প্রতিদিনি কোনো না কোনো স্থানে স্কেভেটর দিয়ে দিনদুপুর ও রাতের অন্ধকারে সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে পাহাড় ও ফসলী জমি কেঁটে মাটি বিক্রিয়ের কাজে ব্যস্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। তারা তাদের ব্যবস্যা চালিয়ে যাওয়ার ও বাঁধা বিপত্তি থেকে বাচাঁর জন্য স্থানীয় কিছু দুষ্টু চক্র আইন অমান্যকারী ব্যক্তি বিশেষদেরকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে পাহাড় কাঁটা নির্বিধায় চালিয়ে যাচ্ছে।

সিন্দুকছড়ির বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে ফসলী জমি ও পাহাড় কেঁটে মাটি ট্্রাকে করে ব্রিকফিল্ডের কাজে ব্যবহার করছে এবং কোনো কোনো স্থানে নিচা জায়গা ভরাট করছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে সরকার হাড়াচ্ছে বিপুল পরিমান রাজস্ব। এছাড়াও আসছে বর্ষার মৌসুমে পাহাড়ের পাশে বসবাসরত মানুষের জীবনের ঝুকিঁ ও বাড়ছে।

এসকল পাহাড় কাঁটায় ব্যবহার হচ্ছে প্রায় ১০ থেকে ১২টি স্কেভেটর। ৫টি ব্রিগফিল্ডের অধিনে রয়েছে ৮-৯টি স্কেভেটর। স্কেভেটর ও ট্রাকটার দিয়ে মাটি কেঁটে বিক্রয়ের ব্যবসায় নিয়োজিত রয়েছে ৩-৪টি স্কেভেটর ও ট্রাকটর। তাছাড়াও এসকল অবৈধ কাজে মদদ দিচ্ছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। মাটি বিক্রিয় করছে মো: রফিকুল, শুক্কুর আলী, আলী নুরসহ তাদের মদদ দাতাদের সহযোগিতায় পাহাড় কাঁটার মহাৎসব চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি গুইমারা বাজারে পাহাড় কেঁটে মাটি বিক্রয়কারী এবং মাটা কাঁটার জন্য টাকা নিয়ে সহযোগিতাকারীদের মধ্যে টাকা দেওয়া নেওয়াকে নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় এক পর্যায়ে টাকা পরিশোধ না করায় তর্কবির্তকের সৃষ্টি হলে লোকজন জমা হয়ে যায়। স্বার্থ মহলের দাবি পাহাড় কাঁটতে হলে টাকা দিয়ে পাহাড় কাটতে হবে। নয়তো কোনো পাহাড় কাঁটা বা মাটি বিক্রয় করা যাবেনা বলে হুসিয়ার করে দেয়।

পাহাড় কাঁটার বিষয় সিন্দুকছড়ি চেয়ারম্যান রেদাক মারমা সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, উচু নিচু জায়গায় গুলোকে মাটি ভরাট করে জমিগুলোকে চাষাবাদীর উপযোগি করা হচ্ছে। এছাড়াও কিছু মাটি ব্রিগফিল্ডের কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গুইমারা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে পাহাড় কাঁটা হচ্ছে। বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে মাটি কেঁটে তা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ব্রিগফিল্ড সহ বিভিন্ন স্থানে। সচেতনমহল জানান, এসকল অবৈধ কর্মকান্ডের কারণে, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে তার সাথে সাথে সরকার হাড়াচ্ছে রাজস্ব। অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধ না হলে অচিরেই ধ্বসে পরবে পার্বত্য অঞ্চলের সুন্দর্য্যরে পাহাড় বিপর্যয়ের মুখে পরবে সাধারণ মানুষ। তাই এসকল অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধের দাবি করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!