আল-মামুন,খাগড়াছড়ি:: সন্তু লারমার বিচারের দাবীতে উত্তাল হয়ে উঠেছে পাহাড়ি জনপদ খাগড়াছড়ি। বুধবার (৯ ফেব্রæয়ারি) সকাল ১১টায় সেনা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল মানববন্ধন থেকে এই দাবী তোলা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতারা বান্দরবানের রুমায় উপজেলায় সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান হত্যার ঘটনায় মানববন্ধন থেকে জেএসএস মূল দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বৌধি প্রিয় ওরফে সন্তু লারমাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক বিচার ও জেলা পরিষদ আঞ্চলিক পরিষদের নির্বাচনের দাবি করেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আলমগীর কবির এর নেতৃত্বে খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি মো. আবদুল মজিদ সভাপতিত্বে এতে কেন্দ্রীয় মহিলা পরিষদের সভানেত্রী সালমা আহমেদ মৌ, নাগরিক পরিষদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান ডালিম, জেলা শাখার সহ-সভাপতি এস এম হেলাল, সহ-সভাপতি তাহেরুল ইসলাম সোহাগ, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ লোকমান, নাগরিক পরিষদ জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মো রবিউল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম এতে বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা, সন্তু লারমার গাড়ি থেকে জাতীয় পতাকা নামিয়ে তাকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করাসহ জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদের নির্বাচনের দাবি এবং পার্বত্য এলাকায় সেনা ও পুলিশ ক্যাম্প পুনঃস্থাপনসহ সেখানে চিরদিনের জন্য শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবি করেন। একই সময় সন্তু লারমাকে দেশদ্রোহী বলে আখ্যায়িত করে অগণিত পাহাড়ি-বাঙ্গালী হত্যার বিচারের মাধ্যমে পাহাড়কে কলঙ্কমুক্ত করার দাবী জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।
প্রসঙ্গত: গত ২ ফেব্রæয়ারি বান্দরবানের রুমা উপজেলার বথি ত্রিপুরা পাড়ায় সেনাবাহিনীর একটি টহল দলের ওপর জেএসএস (মূল দল)-এর সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করলে গুলিবিদ্ধ হয়ে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান নিহত ও আরো এক সেনা সদস্য আহত হয়। ঘটনার সময় আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী পাল্টা গুলিতে তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়। সেনাবাহিনীর দাবি, নিহত সন্ত্রাসীরা জেএসএস মূল দলের সদস্য।