নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৬ সালে গঠিত মানিকছড়ি উপজেলা বিএনপির দীর্ঘ দিনেও দলে ঐক্যবদ্ধ করে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন কমিটি গঠনে ব্যর্থতা; দলে বিভাজন সৃষ্টি ও মতবিরোধ চাঙ্গা হতে থাকায় ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ভেঙ্গে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
এতে বিপুল কমিটির সাধারণ সম্পাদকের মনোনীতরা প্রাধান্য পায় বলে অভিযোগ করেন সংক্ষুব্ধরা। এর ফলে ঘোষিত কমিটিকে একতরফা দাবি রে তৃণমূলের নেতাকর্মীর একাংশকে নিয়ে বিলুপ্ত কমিটির র্শীষ নেতারা কমিটি প্রত্যাখ্যান ও আহ্বায়ককে অবাঞ্চিত ঘোষণা দিয়ে সোমবার সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন।
সাবেক কমিটির সভাপতি এম এ করিম ও সহ-সভাপতি মো: আরব আলী, সহ-সভাপতি মো: মুজিবুল হক বাহার এবং ঘোষিত কমিটির সদস্য মো: জাহাঙ্গীর হোসেন, ইব্রাহীম খলিল ফরিদীসহ প্রায় তিনশত নেতাকর্মীর উপস্থিতে ২৪ জানুয়ারি (সোমবার) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন এম এ করিম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলা বিএনপির ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে কমিটির গঠনের চলমান কার্যক্রমে দলের বির্তকিত নেতা ও তার অনুসারীদের পরাজয় দেখে জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভুইয়াকে ভুল বুঝিঁয়ে ও তৃণমূলের মতামত এবং গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে গত ২০ জানুয়ারি একতরফা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। এতে ত্যাগী ও নির্যাতিতরা সংক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। আমরা এই কমিটি প্রত্যাখ্যান ও আহ্বায়ককে অবাঞ্চিত ঘোষণা করছি। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এক একতরফা কমিটি বাতিল চাই। অন্যথায় আরও বড় ধরণের কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।
অপরদিকে মানিকছড়ি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম জানান, গত ২০ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভুইয়া ত্যাগি নেতাদেরকে মূল্যায়ন করে স্থানিয় ছাত্রদল যুবদল সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী দের মতামতের ভিত্তিতে একতরফা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।উক্ত কমিটির সাথে সকল ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার অংঙ্গীকার ব্যক্ত করে। এক পরিচিতি সভা করা হয়। দলীয় কিছু ব্যক্তি বিশেষ যারা বিএনপির কর্মকান্ডকে পছন্দ করে না তারাই বিরুধীতা করছে।