শিরোনাম
মঙ্গল. ডিসে ২৪, ২০২৪


নিজস্ব প্রতিবেদক: খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার এগার মাইল নামক স্থানে নিউ জালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে ১৫ একর জায়গায় প্রকাশ্যে পাহারের কঁচি কাঁচা গাছ কেটে উজার করছে শাহিন নামক এক ব্যক্তি।
এলাকাবাসীর মতে, এই সকল কঁচি কাঁচা মূল্যবান গাছ কেটে কাঠ ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করছে। অবৈধ কাঠ পাচার কারিরা সেগুন ও গামারি বড় বড় কাঠ গুলো বিভিন্ন জোতপারমিটের সাথে মিশিয়ে মোটা অংকের টাকায় বিক্রি করছে যাহা সম্পূর্ণ বেয়াইনি। এতে করে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্য হারাচ্ছে। ১৫ একর বাগান হচ্ছে উজার। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন তড়িৎ গতিতে ব্যবস্থা না নিলে সকল গাছ কেটে পাঁচার করবে এই অসাধু ব্যবসায়ী। ইতিপূর্বে ঐ স্থান থেকে প্রায় ২০-২৫ হাজার গণফুট সেগুন গামারী কাঠ অবৈধভাবে বিক্রি করেছে আলী আকবর ভূইয়ার লোকজন।
খোজ নিয়ে জানাযায়, ঐ জায়গার মালিক আলী আকবর কিনা পরিবারের ছেলে ও তার স্ত্রীর নামে ১৫ একর জায়গা রেকর্ডীয় বলে জানা গেছে। তারা সরকারি জোত ও অনুমতি ছাড়াই প্রভাব বিস্তার করে অবৈধভাবে এই মূল্যবান কাঠ গুলো বিক্রির সহযোগিতা করছে এবং শাহিন নামক এক ব্যক্তি ১৫ একর জায়গার গাছ কেটে কচু লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানাগেছে।
জালিয়াপাড়ার স্থানীয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, কাঠ পাচার অনেক দিন ধরেই চলছে। এতে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু জন প্রতিনিধিদের বিরোধিতা ও আমাদের জনবল সংকটের কারণে এসব বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি না। তার পরও সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমরা বৃক্ষনিধন রোধে তৎপর রয়েছি।

রামগড় উপজেলার এগার মাইল নিউ জালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে ১৫ একর বাগান কর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে সোনাইফুল রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: সুলতানুল আজিমকে জানালে তিনি বলেন, আমরা সবসময় অবৈধভাবে গাছ কাটা ও পাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাই কিন্তু আমাদের লোকবলের অভাবে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা না পাওয়ায় অভিযান চালানো সম্ভব হয়না। এই পর্যন্ত ২ থেকে ৩ হাজার গনফুট জালানি ও গোল কাঠ আটক করেছি। এগারো মাইলের বাগান কাটার বিষয়টিও উর্ধতন কর্মকর্তারদের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এই বিষয়ে খাগড়াছড়ি বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবির এর সাথে কাঠ পাচার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে স্থানীয় রেঞ্জের মাধ্যমে গাছ কাটা বন্ধ করার নিদের্শ দিয়েছি। সরকারি রাজস্ব দিয়ে পারমিটের মাধ্যমে গাছ কাটার পরামর্শ দিয়েছি। তা অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!