ডেস্ক রির্পোট বালু উত্তোলনের একটা হিড়িক পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি বলেছেন, সেজন্য একটি নীতিমালা অনুযায়ী সন্ধ্যার পর কোনোভাবেই বালু উত্তোলন করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের একটি অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। প্রতিমন্ত্রী জানান, মন্ত্রণালয় লক্ষ্য করেছে যে, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের একটা হিড়িক পড়েছে। ডিসিদের বলেছি, এটা বন্ধ করতে না পারলে নদীর তীর যদি লোহা দিয়েও দেয়াল করা হয়, তাও রক্ষা করতে পারব না। খননের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা মন্ত্রীপরিষদে পাটানো হবে। সেখানে আমরা বলেছি যে, বালু উত্তোলনের সময়টা সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে করতে হবে। সন্ধ্যার পর কোনোভাবেই বালু উত্তোলন করা যাবে না। তিনি আরও বলেন, সরকারের যেসব উন্নয়নমূলক প্রকল্প আছে সেগুলো চলমান রাখার জন্য বালুর প্রয়োজন। তবে যত্রতত্র থেকে বালু উত্তোলন চলবে না।
জেলা প্রশাসকদের বলেছি যে, পানি উন্নয়ন বোর্ড, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রকৌশলীদের নিয়ে বালুর মহল চিহ্নিত করবেন। সেখানে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত উত্তোলন করতে হবে, বলেন জাহিদ ফারুক। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাঁধের উপর ঘর বাড়ি থাকে। ঘর বাড়ি করলে আর রান্নাবান্না করলে ইঁদুরের বাসা হয়। ইঁদুর বাসা বাঁধলে বাঁধ দুর্বল হয়ে যায়, যা বাইরে থেকে বোঝা যায় না। বর্ষায় প্রবল স্রোতে বাধ ভেঙ্গে যায়। তখন আপনারা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করেছে কিন্তু কাজটা সঠিক হয়নি।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের স্থান নির্ধারণ করার সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীর সঙ্গে আলোচনা করে উঁচু স্থান নির্ধারণ করার জন্য ডিসিদের বলা হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, উপকূলীয় বাঁধ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ষাট দশকের বাধগুলো। এখন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ বাংলাদেশের টাকা দিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। এই কাজগুলো শেষ হলে আমরা মনে করি, আগামী সাত আট বছর পরে একটা সহনীয় পর্যায়ে আসবে জলোচ্ছ্বাস থেকে এলাকাবাসী রক্ষা পাবেন।