নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ির রামগড়ে প্রেমিকাকে (১৫) বেড়ানোর কথা বলে এনে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে নাঈম মজুমদার (২২) নামে এক যুবক। সে রামগড় পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বলিটিলার নুরুল আমীন মজুমদারের ছেলে এবং সোনাইপুল বাজারের একটি কাপড়ের দোকানের কর্মচারি।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে ভিকটিম কিশোরী নিজে বাদী হয়ে প্রেমিক নাঈম মজুমদারকে আসামী করে রামগড় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দয়ের করেছে। পুলিশ মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ধর্ষক প্রেমিক গা ঢাকা দিয়েছে।
মামলার এজহারে অভিযোগ করা হয়, নাঈম মজুমদারের সাথে মোবাইলে পরিচয়ের পর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে রামগড়ের পার্শ্ববর্তী ফটিকছড়ির বাগান বাজারের বড়বিলের বাসিন্দা ভিকটিম ঐ কিশোরী (১৫)। গত ১০ জানুয়ারি বিকেলে বেড়ানোর কথা বলে প্রেমিকাকে রামগড়ে ফোন করে ডেকে আনে নাঈম। ঐদিন রামগড়ের বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘরির পর রাতে পৌরসভার বলিটিলা এলাকায় এক আত্মীয়র বাড়িতে নিয়ে ঐ কিশোরীকে জোরপূর্বক র্ধষণ করে নাঈম। পরে রাত পৌনে ৯টার দিকে ইজিবাইক ভাড়া করে ওয়াইফাপাড়া গ্রামে কিশোরীকে তার এক বান্ধবীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় নাঈম। পরদিন ঐ কিশোরী তার বাবা-মাকে ঘটনাটি জানায়।
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, কিশোরীর আত্মীয়স্বজন প্রেমিক নাঈমের অভিভাবককে ঘটনাটি জানালে তারা এক লক্ষ টাকা ধর্ষণের ঘটনার দফারফার প্রস্তাব দেয়। ভিকটিমের পরিবার বিয়ে ছাড়া অন্য কোনভাবে সমঝোতায় রাজী না এমন সিদ্ধান্ত জানালে নাঈমের পরিবার ঐ কিশোরীকে বিয়ে করতে অসম্মতি জানায়। এ অবস্থায় অভিভাবকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভিকটিম কিশোরী বুধবার গভীর রাতে রামগড় থানায় উপস্থিত হয়ে নাঈম মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
রামগড় থানা ওসি (তদন্ত) রাজীব কর বলেন, বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে এজাহার দাখিল করে। রাতেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০, সংশোধিত ০৩ এর ৯ (১) ধারায় মামলাটি রুজু হয়। তিনি বলেন, মামলা রুজুর পর ঐ রাতেই পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করতে অভিযান শুরু করে। তবে আসামি নাঈম মজুমদার গা ঢাঁকা দেয়ায় এখনও তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। ওসি (তদন্ত) জানান, মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে বৃহস্পতিবার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।