নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার ২নং পাতাছড়া ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে জোড়া খুনের আসামি সোলেমান হোসেনকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে ১২ জানুয়ারি ২০২২ইং খাগড়াছড়ি জেলা সিফ জুডিসিয়ান ম্যাজিষ্ট্রেট শাহিনুর আলমের আদালতে হাজির করলে স্ত্রী ও শিশু সন্তান হত্যাকারি সোলেমান স্বীকারোক্তি মুলক জবান বন্ধি দিয়েছে।
জানাযায়, বাংলাদেশ পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) মালিবাগ সিআইডির কার্যালয়ে আয়োজিত সংস্থাটির এলআইসির শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুক্তাধর এ তথ্য জানান এবং খাগড়াছড়ি জেলা সিআইডি ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ নুর হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম গিয়ে অন্যান্য উদ্ধেতন সিআইডি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় আসামি সোলেমানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গতকাল সোমবার (১০ জানুয়ারি) রাতে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট এলাকা থেকে সোলেমান হোসেনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সোলেমান হোসেন পেশায় একজন রাজ মিস্ত্রী। সে পাতাছড়া ইউনিয়নের মধুপুর এলাকার মোহাম্মদ জাহের মিয়ার ছেলে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে বাঁধা দেয়ায় স্ত্রী খালেদা আক্তার পিংকি (২৫) ও তাদের ৪ মাস বয়সী শিশু সন্তানকে ধারালো দা দিয়ে গলাকেটে হত্যার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার সোলেমান গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার একটি টেক্সটাইল মিলে অপারেটর হিসেবে কাজ করত। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে পারিবারিকভাবে তার সঙ্গে পিংকির বিয়ে হয়। বিয়ের পর সোলেমান গ্রামের বাড়িতে থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করত। তাদের ১০ বছরের সংসারে ফারিয়া সুলতানা (৫) ও সালমা আক্তার জান্নাত (৪ মাস) নামে দুই কন্যা সন্তান ছিল।
রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে আসামি সোলেমান তার স্ত্রী ও ৪ মাসের শিশু সন্তানকে হত্যা করে কম্বল মুড়িয়ে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা খবর দিলে ৩ জানুয়ারি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে মামলাটি সিআইডির নিকট হস্তান্তর করা হয়। আসামিকে খাগড়াছড়ি আদালতে সোপর্দ করলে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দেয়।
উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারি খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার ২নং পাতাছড়া ইউপি’র মধুপুর গ্রামে তালাবন্ধ ঘরের বিছানা থেকে স্ত্রী ও শিশু সন্তানের গলা কাটা অর্ধগলিত মা ও শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে স্বামী সোলেমান হোসেন পলাতক ছিলেন।