নুরুল আলম: : চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনে খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি ও রামগড় ৫ টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বিজয়। রামগড় ও পাতাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগের ২ চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। মানিকছড়ির তিন ইউপিতে অনাকাঙ্খিত কোন ঘটনা ছাড়াই ভোট গ্রহন শেষ হয়েছে। রাত ১০টায় ঘোষিত বেসরকারী ফলাফলে ৩ ইউপি আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের সকল প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
মানিকছড়ি উপজেলার তিন ইউপির মধ্যে সদর ইউপিতে ইভিএম এবং বাটনাতলী ও তিনটহরী ইউপিতে ব্যালটে ভোট গ্রহণ করা হয়। অন্যদিকে নির্বাচনী মাঠে চেয়ারম্যান পদে দলীয় ৩জন ও স্বতন্ত্র ২জন। সংরক্ষিত সদস্য পদে ২৯জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৬৮জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সদরে ইভিএম ভোট হওয়ায় এবং বিকেলে ৪টার পরও তিনটি কেন্দ্রের লাইনে ভোটার থাকায় ভোট গ্রহন চলছিল।
১নং মানিকছড়িতে নৌকা প্রতীকে মো: শফিকুর রহমান ফারুক পেয়েছেন ৬ হাজার ৫শত ৫৫ ভোট পেয়ে বিজয় হয়েছেন। তার নিকটতম দলের বিদ্রোহী স্বতন্ত্রপ্রার্থী যোগ্য মারমা( আনারস) পেয়েছেন ৩হাজার ৩০ ভোট। হাতপাখা ১ হাজার ৫শত ৫ ভোট। কাস্টিং ৬৮.৬৮%।
বাটনাতলী ইউপিতে নৌকা প্রতীকে মো: আবদুর রহিম ৪হাজার ৭শত ৭৫ ভোট পেয়ে বিজয় হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্রপ্রার্থী মংসাপ্রু চৌধুরী পেয়েছেন ৩ হাজার ৫শত ১০ ভোট। কাস্টিং ৮১.৯৭%। এছাড়া তিনটহরীতে চেয়ারম্যান পদে নৌকা) মো: আবুল কালাম আজাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন। রাত ১০টায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং কর্মকর্তা মো: শওকত আলী চৌধুরী বেসরকারী ফলাফল ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১নং রামগড় ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান শাহ আলম মজুমদার তৃতীয়বারের মত এবারও নির্বাচিত হলেন। আনারস প্রতীকে বিদ্রোহী প্রার্থী করিমুল হক ৩ হাজার ৬ ভোট। আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থী শাহ আলম মজুমদার ৫ হাজার ৬১৮ ভোট পেয়ে জয়যুক্ত হয়।
অন্যদিকে, উপজেলা পাতাছড়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী উপজেলা আওয়ীমীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তণ চেয়ারম্যান কাজী নুরুল আলম (আলমগীর) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। রবিবার শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।