নুরুল আলম:: অরণ্যে ঘেরা সবুজ পাহাড়,দেখতে বেশ মনমুগ্ধকর। ভ্রমণ পিঁপাসুদের প্রতিনিয়তই কাছে টানে হাত বাড়িয়ে। সাপের মত আঁকা-বাঁকা পার্বত্য চট্টগ্রামের সড়ক দেখতে দৃষ্টি জুড়ালেও সে পথে একটু অসাবধানতায় হতে পারে প্রাণ কেঁড়ে নেওয়ার কারণ।
উঁচু-পাহাড়ের আঁকা-বাঁকে খেয়াল-খুশিমত গতি আর অসাবধানতা ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনাও। দ্রুতগামী মটর সাইকেল,বাস,ট্রাক,কার,মাইক্রোবাস,অটো রিক্সাসহ যে কোন যানবাহন কেঁড়ে নিতে পারে প্রিয় মানুষের জীবন। তাই সবুজ পাহাড়ের দৃষ্টি নন্দন সড়কে ঔৎ পেঁতে থাকা দূর্ঘটনা আর মৃত্যুর হাতছানি থেকে জীবন বাঁচাতে ঝুঁকিপূর্ণ বাকে সড়ক ও জনপদ (সওজ) নিয়েছে বিকল্প এক উদ্যোগ। টার্নিং মোড়ের এক প্রাপ্ত থেকে টার্নিং দেখতে স্থাপন করেছেন (কনভেক্স মিরোর) উত্তল আয়না।
এই উদ্যোগ ফলে পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে হাত বাড়িয়ে মৃত্যু প্রতিরোধে সহায়ক হলেও সড়ক প্রশস্ত ও ঝুঁকি এড়াতে বিপদজনক স্পর্টগুলোতে গতিরোধক নির্মাণের দাবী জানিয়েছে সচেতনমহল। এতে করে কমবে মৃত্যু ঝুঁকি, কমানো সম্ভব হবে বেপরোয়া গতির যানবাহন চলাচলের মাত্রা।
সড়কে চলাচলকারী যাত্রী রুহুল আমিন ও পাইসানু মারমা বলেন, চালকদের বেপরোয়া গতি কেড়ে নিচ্ছে সাধারণ মানুষের জীবন। আবার কখনো ঝুঁকিপূর্ণ বাক এবং মোড়গুলোতে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ী দেখা না যাওয়ার কারণে দূর্ঘটনা ঘটছে বলে জানান।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিবহণ মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ ও সড়ক পরিবহন চালক সমবায় সমিতি লিমিটেড নেতা নেতা মো: ইউনুছ বলেন, সড়কে যে হারে গাড়ি বেড়েছে সে হারে প্রশস্ত হয়নি সড়ক। এছাড়াও পর্যটন এলাকা হিসেবে বাহির থেকে আসা গাড়ীর চালকদের সাবধানতা ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গতিরোধক দেওয়াসহ টার্নিং মোড়ের ঝোঁপ-ঝাড় টানা হলে সড়ক দূর্ঘটনা অনেকাংশে কমবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, দূর্ঘটনা রোধে মহা সড়কের পাশের ঝোঁপ-ঝাঁড় পরিস্কার ও ঝুঁকিপূর্ণ বাকে একদিক থেকে অন্য দিক দেখতে উত্তল আয়না প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। যা সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিরোধে সহায়ক হবে। এছাড়াও জনজীবনে আরো এগিয়ে নিতে সড়ক ও জনপদ বিভাগ সব সময় আন্তরিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।