নুরুল আলম:: ভারী বর্ষণের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ঝুলন্ত সেতুটি জলের নিচে তলিয়ে গেছে।
আশির দশকের দিকে সরকার রাঙামাটি পার্বত্য জেলাকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। পরে পর্যটন কর্পোরেশন এর অধীন পর্যটকদের পারাপারের সুবিধায় দু’টি পাহাড়ের মাঝখানে তৈরি করে আকর্ষণীয় ঝুলন্ত সেতু।
তৎকালীন সময় থেকে দেশে-বিদেশে ঝুলন্ত সেতুটি ব্যাপক আকারে পরিচিতি পেয়েছে। প্রতি বছর পর্যটন মৌসুমে রাঙামাটির সিম্বল খ্যাত দৃষ্টিনন্দন ঝুলন্ত সেতুটি উপভোগ করতে এ অঞ্চলে আগমন ঘটে প্রচুর পর্যটকের। কিন্তু অপরিকল্পিতভাবে তথা কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতার কথা না ভেবে সেতুটি নির্মাণ করার ফলে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ঝুলন্ত সেতুটি কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে যায়।
পর্যটন করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রতি বছর নতুন সেতু তৈরি তথা সেতুর উচ্চতা বৃদ্ধির পরিকল্পনার কথা শুনিয়ে আসলেও দীর্ঘ বছর ধরে তাদের এ পরিকল্পনার কথা মুখে থেকে গেছে; তা কখনো বাস্তবে রূপ নেয়নি। যে কারণে প্রতি বর্ষা মৌসুমে সেতুটি কাপ্তাই হ্রদের জলে ডুবে যায়, পর্যটকরা সেতুটির সৌন্দর্য অবলোকন থেকে বঞ্চিত হয়।
রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশন এর বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. সোহেল বলেন, কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে ঝুলন্ত সেতুটি ডুবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় পর্যটকদের জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে সেতু দিয়ে পারাপার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেতুটি নিয়ে পরিকল্পনার ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেনি পর্যটন করপোরেশনের এ কর্মকর্তা। গত এক সপ্তাহ ধরে উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামার কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।