শিরোনাম
মঙ্গল. ডিসে ২৪, ২০২৪


নুরুল আলম:: পার্বত্য জেলার উন্নয়ন কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে পাহাড় ও ভূমি ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্থ সড়কগুলো পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সরকারের হাতে নেওয়া এযাবৎ কালের তিন বছর মেয়াদী সবচেয়ে বড় আড়াই শত কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে।

এইদিকে, প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটি সড়ক বিভাগাধীন ৬টি সড়কে একযোগে কাজ চলছে। বিগত ২০১৭ সালে টানা ভাড়ী বর্ষনের ফলে তিন পার্বত্য জেলায়- রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে ব্যাপক আকাড়ে পাহাড় ও ভূমি ধ্বসের ঘটনা ঘটে। এতে তিন জেলার সড়কগুলি মারাত্মভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার চরম অবনতি হয়। তাই সরকারের পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় কর্তৃক পার্বত্য অঞ্চলের ভূমি ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্থ সড়কগুলো পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে রাঙামাটি সড়ক বিভাগের অধীন পাহাড়-ভূমিধ্বসে ক্ষতিগ্রস্থ সড়কের বিভিন্ন কিলোমিটারে ড্রেনসহ স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক আরসিসি রিটেনিং ওয়াল নিমার্ণ শীর্ষক” এ প্রকল্পটি গ্রহন করা হয়েছে। প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ২৪৯.২৬ কোটি টাকা থেকে সড়ক নেটওয়ার্ক রক্ষা করা। জনগণ ও দেশি বিদেশী পর্যটকদের যাতায়াত নিবিছিন্ন ও নিরাপদ রাখা রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কাজ করে যাচ্ছে।

সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের কাজ ২০১৯ সালের জুলাইয়ের প্রথম দিকে শুরু হয়। এতে মোট ৮টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে গত ২০২০ সালের প্রথম দিকে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গুলি হচ্ছে এস আনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা, মের্সাস তাহের ব্রাদার্স, সেলিম ব্রাদার্স, ঢাকাস্থ ন্যাশানাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং, আবুল হাসেম টেকনো, সাগর বিল্ডার্স, কহিনুর এন্টারপ্রাইজ এবং রাঙামাটি ট্রেডার্স।
এ প্রকল্পের অধীনে আরসিসি রিটেনিং ওয়াল নির্মাণ করা হবে মোট ৫৪৭০ মিটার, আরসিসি সসার ড্রেন ৬২২৫ মিটার, আরসিসি ইউড্রেন ১৫১০ মিটার এবং কংক্রিট স্লোপ প্রটেশনের কাজ করা হবে ৭২১৫০ বর্গমিটারে।

রিটেনিং ওয়ালের মধ্যে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে ১৮৩০ মিটার, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি, বাঘাইছড়ি-নানিয়াচর সড়কে ১১০৫ মিটার, রাঙামাটির ঘাগড়া-চন্দ্রঘোনা ১৭৪৭.৭১ ব্যয়ে মোট কাজের পরিমান ২৩ কিলোমিটার, বাঙ্গালহালিয়া-রাজস্থলী ১৪৪৩ মিটার এবং রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে ১০৯২ মিটার। রাঙামাটি-মানিকছড়ি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়ক (আর-১৬২), ব্যয় ৯৮৮.৭৬ মোট পরিমান ১৮ কিলোমিটার কাজের ঠিকাদার এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা।

সীমান্ত সড়ক (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা) নির্মাণ প্রকল্প ১ম পযার্য় (১ম সংশোধন)” শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্পে প্রাক্কলিত ব্যয় ১৬৯৯.৮৪৯২ কোটি টাকা মোট দৈর্ঘ্য ৩১৭.০০ কিলোমিটার। সেনাবাহিনী কর্তৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে, আরডিপি প্রক্রিয়াধীন।

সম্প্রতি সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, রাঙামাটির-চন্দ্রঘোনা সড়কে কাপ্তাই উপজেলায় ওয়াগ্না ইউনিয়নে কয়েকটি পয়েন্টে রিটেনিং ওয়ালের কাজ শুরু করা হলেও সব গুলিই মাত্র অর্ধেকের চেয়ে কম কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। রাঙামাটি খাগড়াছড়ি বাঘাইছড়ি নানিয়ারচর সড়কে বিভিন্ন পয়েন্ট কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি এলাকাবাসীর। এছাড়াও রাঙামাটি চট্টগ্রাম সড়কের ওয়ালের কাজ চলছে।
রাঙামাটি চট্টগ্রাম সড়কের স্বয়ং রাঙামাটি জেলা শহরে ফিশারী শহর রক্ষা বাঁদ এলাকায় বেশ কয়েকটি ওয়ালের কাজও অর্ধেক করে ভাড়ী বর্ষনে লেকের পানি বৃদ্ধির কারনে কাজ সম্পূর্ণ করতে বিগ্নিত হচ্ছে। রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ ব্যাপারে বলেছেন, কোভিড-১৯ কারনে চার মাস কাজ বন্ধ থাকায় এ পর্যন্ত প্রকল্পের কাজের আশানুরপ অগ্রগতি হয়নি। সর্বপ্রথম বেশী গ্রক্ষিগ্রস্থ রাস্তাগুলিতে কাজ করছেন এবং বর্ষার কারনে ঠিকমত কাজ করা যাচ্ছে না। নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে।

বর্তমান সরকার সারাদেশের ন্যায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের উন্নয়ন মূলক কাজ গুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য যে নির্দেশনা দিয়েছে সে অনুযায়ী সড়ক ও জনপথের কাজ বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করছে তিন পার্বত্য জেলা। এইদিকে সেনাবাহিনী কর্তৃক সীমান্তবর্তী সড়ক নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন করছে।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!