নুরুল আলম:: সড়ক, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সম্প্রসারণ, ব্রীজ-কালর্ভাট, ভূমিহীনদের আবাসন নির্মাণসহ নানা মূখী উন্নয়নে এলজিইডি রাঙ্গামাটির উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কার্যক্রমে চলছে সমানতালে।
এরই অংশ হিসেবে ৫টি পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে স্কীমের সংখ্যা ১৩৫টি চুক্তি মূল্য ৩৫৯.৭২ কোটি টাকা। সমাপ্ত রাস্তার দৈর্ঘ্য ১৫৮ কিলোমিটার চলমান রাস্তার দৈর্ঘ্য ৫৬কিলোমিটার। সমাপ্ত ব্রীজ কালভার্ড এর স্প্যান ২৩৪৮ মিটার চলমান ব্রীজ-কালভার্ট ১৫৪০।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমল্পেক্স ভবন নির্মাণ একটি (কাপ্তাই) চলমান ২.১২ কোটি। মুক্তিযোদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ ৪টি চলমান (কাউখালী, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল) ২.২০ কোটি। অসচ্ছল ও ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন প্রকল্প ৫টি ঘর নির্মাণ (সমাপ্ত)।
দেশব্যাপী গ্রামীন বাজার হাট বাজার উন্নয়ন প্রকল্প স্কীম ৪টি চলমান ( কালাপাকুজ্জ্যা বাজার, মহিল্যা বাজার, রাজস্থলী বাজার ও ঘিলাছড়ি বাজার ৮ কোটি। সার্র্বজনীন সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প এর আওতায় (মসজিদ, মন্দির, কেয়াং, কবর স্থান ও শ্বশান উন্নয়ন) ৯৪টি ৫.২৬ কোটি। উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ সমাপ্ত ১টি (কাপ্তাই) ৪.২৯ কোটি চলমান ৩টি (বরকল, বিলাইছড়ি, সদর) ১৮ কোটি।
ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্প সমাপ্ত ২২টি। উপজেলা শহর (নন মিউনিসিপ্যাল) মাস্টার প্ল্যান প্রনয়ণ ও মৌলিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ২টি (কাপ্তাই ও লংগদু) ৭.২০ কোটি। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প এর আওতায় ভবন নির্মান ২৮২টি ১৬৮ কোটি।
কাপ্তাই উপজেলার কারিগরপাড়া হতে বিলাইছড়ি পর্যন্ত ৩৩৮ কোটি টাকা ব্যায়ে ৪৪ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক ব্রীজ/কালভার্ট সহ নির্মাণের লক্ষ্যে একনেকে প্রকল্প অনুমোদন হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, ধারাবাহিক উন্নয়নে বাড়ছে স্বস্থি আর কমছে জনভোগান্তি। তাই উন্নয়ন কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহবান জানান পার্বত্যবাসী।
শীগ্রই নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হবে জানিয়ে রাঙামাটি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তালেব চৌধুরী বলেন, পূর্বের চলমান কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। সে সাথে ধারাবাহিক কার্যক্রমে ক্রমেই গতি বাড়ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।